সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মায়ানমারে (Myanmar) গণতন্ত্রকামীদের উপর ক্রমাগত চাপ বাড়াচ্ছে সেনাবাহিনী। এবার নেত্রী আং সান সু কি’র বিরুদ্ধে আরও এক দুর্নীতির মামলা রুজু করল দেশটির সামরিক প্রশাসন। শুক্রবার এমনটাই জানিয়েছেন সু কি-র আইনজীবী।
[আরও পড়ুন: ফের রকেট হামলা কাবুলে! বিস্ফোরণে কাঁপল আফগানিস্তানের বিদ্যুৎকেন্দ্র]
সংবাদ সংস্থা এএফপি সূত্রে খবর, সু কি-র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা চলছে। এবার ফের একটি নতুন মামলা শুরু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মায়ানমরের সরকারি সংবাদমাধ্যম। গত জুন মাসে দুর্নীতি দমন কমিশনকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছিল, রাজধানী নাইপিদাওয়ের একটি থানায় সু কি’র বিরুদ্ধে জমি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’র আরও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে। অভিযোগ, ‘Daw Khin Kyi Foundation’ নামের একটি দাতব্য সংস্থার জমি নয়ছয় করেছেন সু কি ও তাঁর সঙ্গীরা। এই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁর ২০ বছরের জেলের সাজা হতে পারে। বলে রাখা ভাল, ২০১২ সালে নিজের মায়ের নামে এই সংস্থাটি তৈরি করেছিলেন দেশটিতে গণতন্ত্রের প্রধান মুখ আং সান সু কি।
উল্লেখ্য, ১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের ক্ষমতা দখল করে সেনা। পতন হয় নির্বাচিত সরকারের। তারপর থেকেই সেনার নির্দেশে গৃহবন্দি মায়ানমারের নেত্রী আং সান সু কি (Aung San Suu kyi)। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর্থিক দুর্নীতি, ভোটে কারচুপি এমনকী ভোটপ্রচারে করোনাবিধি ভাঙারও অভিযোগ রয়েছে নোবেলজয়ী এই নেত্রীর বিরুদ্ধে।
ক্যু-এর প্রায় চার মাস পর গত মে মাসে প্রথমবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সেখান থেকে আইনজীবীর মাধ্যমে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দেন তিনি। গত বছর বিরোধীদের পরাজিত করে ক্ষমতা দখল করে সু কি’র দল ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (NLD)। মায়ানমার সংসদের নিম্নকক্ষের ৪২৫টি আসনের মধ্যে ৩৪৬টিতে জয়ী হয় তারা। কিন্তু, রোহিঙ্গা ইস্যু থেকে শুরু করে একাধিক বিষয়ে বিগত দিনে সেনাবাহিনীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় সু কি সরকারের। তারপর অভ্যুত্থান পালটে দেয় গোটা চিত্র।