ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রথমবার প্রার্থী হয়ে ভোটে জয়। আর জিতেই বিধানসভায় (Assembly) পা রেখেছেন। সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By-election) শাসক শিবিরে কার্যত ধস নামিয়ে জনপ্রতিনিধি জিতেছেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী বায়রন বিশ্বাস (Bairon Biswas)। শনিবার তিনি বিধানসভায় আসেন শপথের দিনক্ষণ ঠিক করতে। আর বিধানসভায় পা রেখেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন তিনি। এই মুহূর্তে তিনিই বাম-কংগ্রেস শিবিরের একমাত্র মুখ। সে বিষয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই আত্মবিশ্বাসী স্বরে বললেন, ”১ থেকে ১০০ হতে বেশি সময় লাগবে না।”
এদিন দুপুর নাগাদ বিলাসবহুল গাড়িতে চড়ে বিধানসভায় পৌঁছন বায়রন বিশ্বাস। সঙ্গে ছিলেন দলের বর্ষীয়ান নেতা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো ও অসিত মিত্র। তাঁরা স্পিকারের ঘরে যান। তাঁকে স্বাগত জানানো হয়। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। নবনির্বাচিত কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক বায়রন বিশ্বাসের শপথগ্রহণ নিয়ে আলোচনা হয়। তবে দিনক্ষণ ঠিক হয়নি এখনও। পরে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বায়রন বিশ্বাস। তাঁর জয় দিয়েই তৃতীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)সরকারে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রতিনিধি পেল বিধানসভা। তাঁর সঙ্গী একমাত্র আইএসএফের নওশাদ সিদ্দিকি।
[আরও পড়ুন: DA ধর্মঘটে শামিল হওয়ার জের, রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকদের ঢুকতেই দিলেন না অভিভাবকরা!]
কিন্তু বিরোধী শিবিরে এমন একা হয়ে কীভাবে সামলাবেন কাজ? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে বায়রন বলেন, ”দেখুন কোথাও থেকে তো শুরু হওয়া দরকার। আজ আমি ১ জন, কিন্তু এটা এক থেকে ১০০ হতে বেশি সময় লাগবে না। আমার প্রথম কাজ হবে এলাকার উন্নয়ন করা। আমি যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম প্রার্থী হয়ে, সেগুলো একে একে পূরণ করব। সরকারের সহযোগিতা পাব বলে আশা করছি। আমি যেমন বামেদের সমর্থন পেয়েছি, তেমনই তৃণমূলেরও অনেকে আমাকে সমর্থন করেছেন।” তবে কি তৃণমূলেরও অনেকে তাঁকে ভোট দিয়েছেন? সেই ইঙ্গিতই কি দিয়ে গেলেন বায়রন বিশ্বাস? শুরু হয়েছে গুঞ্জন।