সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের নামে প্রতারণা! রীতিমতো বড়সড় চক্র তৈরি হয়ে গিয়েছিল। বরপক্ষকে ফাঁদে ফেলত ভুয়ো কনেপক্ষ। তাদের থেকে টাকাপয়সা হাতিয়ে পালিয়ে যেত। বুধবার পাঞ্জাবের (Punjab) ফিরোজপুরে (Firozepur) একটি ঘটনায় এমনই এক চক্রের তিন মহিলা-সহ সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কনের পরিচয়পত্র চাইতেই ফাঁস হয় যায় গোটা ঘটনা। হরিয়ানার (Haryana) ফতেহবাদের (Fatehabad) বাসিন্দা দর্শনা দেবী বছর আঠাশের ছেলে রবি কুমারের বিয়ে দেবেন বলে মেয়ে খুঁজছিলেন। ওম প্রকাশ ও জসবিন্দর গিল নামের দুই ব্যক্তির থেকে পছন্দসই কনের সন্ধানও পান। তাঁরা জানায়, দীপ নামের ওই পাত্রী পাঞ্জাবের ফিরোজপুরের বাসিন্দা। দর্শনা দেবীর দাবি, কনের সন্ধান দেওয়ায় পর ওম ও জসবিন্দরকে ৩১ হাজার টাকা দিতে হয়।
[আরও পড়ুন: মহিলা কর্মীদের অসুবিধা হয়, পুরুষদের হাফপ্যান্ট পরায় নিষেধাজ্ঞা উত্তরপ্রদেশের ব্যাংকে!]
এরপর নিয়ম মতো মঙ্গলবার ফিরোজপুরে ছিল আনুষ্ঠানিক বিয়ে। আইনি কাজ সারতে কনে ও তাঁর বাড়ির লোকের পরিচয়পত্র চাইতেই গোলমাল বাধে। মিত অরোরা ও তারা অরোরা নামের দু’টি পরিচয়পত্র দেওয়া হয় বরপক্ষকে। যা দেখে পুরোহিত দাবি করেন, গতকাল ওই নামে একজনকে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। একথা শুনে চিন্তায় পড়ে যায় বরপক্ষ। সন্দেহ হয় তাদের। পুলিশে খবর দেয় তারা।
[আরও পড়ুন: সাড়ে তিন বছর ধরে দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ! ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস]
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ বুঝতে পারে দর্শনা ও তাঁর ছেলের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। সময় মতো পুলিশে খবর না দেওয়া হলে টাকা-গয়না নিয়ে চম্পট দিতে নকল কনেপক্ষ। ইতিমধ্যে ওম প্রকাশ, বীণা শর্মা, নেহা, জসবিন্দর সিং, দীপ, তারা অরোরা ও মিত অরোরা নামের সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে ৪২০, ৪৬৫, ৪৬৮, ৪৭০, ৪৭১ ও ১২০ বি ধারায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অভিযুক্তরা এই ধরনের কতগুলি প্ররারণার সঙ্গে যুক্ত তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ॥