‘রাজা’ও ‘রাজত্ব’ গেছে, নদীতে ভাসছে জং-ধরা ইতিহাস! সাদ্দামের প্রমোদতরী এখন পিকনিক স্পট

05:36 PM Mar 18, 2023 |
Advertisement

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পতন হয় দোর্দণ্ডপ্রতাপ ‘রাজা’র। আমেরিকা (America) দখল নেয় দেশের। আত্মগোপন করেও রক্ষা পাননি। ধরা পড়ার পরে বিচারে ফাঁসি হয় ইরাকের (Iraq) এককালের সর্বাধিনায়ক সাদ্দাম হোসেনের (Saddam Hussein)। একনায়ক নেতার বিলসবহুল প্রমোদতরী এখন স্থানীয় বাসিন্দা আর জেলেদের পিকনিক স্পটে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ ইরাকের শাত‌-আল-আরব নদীতে ভাসছে জং ধরা সেই প্রমোদতরী। ইরাক ভ্রমণে আসা পর্যটকরা যা একবার চোখের দেখা দেখে যান।

Advertisement

শখ করে ১৯৮০ সালে ‘আল-মনসুর’ নামের প্রমোদতরীটি তৈরি করান সাদ্দাম। ১২১ মিটার দীর্ঘ বিলাসবহুল নৌযানে ছিল ২০০ জন অতিথির থাকার ব্যবস্থা। ভিভিআইপি ইয়টে ছিল হেলিপ্যাডও। যদিও এই প্রমোদতরীতে চড়ার সুযোগ হয়নি সাদ্দামের। যদিও ২০০৩ সালে আমেরিকার হামলার পর ‘আল-মনসুর’ রক্ষার চেষ্টা হয়। বাসরা শহরের নিরাপদ স্থানে সরানো হয় প্রমোদতরীটিকে। তাতেও শেষরক্ষা হয়নি।

[আরও পড়ুন: পাঞ্জাব পুলিশের রুদ্ধশ্বাস অপারেশন, আটক খলিস্তানি নেতা অমৃতপাল সিং]

মার্কিন গোলায় বিধ্বস্ত হয় সাদ্দামের সাধের ইয়ট। পরবর্তীকালে লুটপাটও চলে। বর্তমানে পরিত্যক্ত প্রমোদতরীটি স্থানীয় বাসিন্দা এবং জেলেদের বিশ্রামের জায়গা। কেউ কেউ এর উপর উঠে চা খান। জলের মধ্যে এক টুকরো ধাতব দ্বীপে পিকনিকের মজা নেন অনেকে। আমেরিকার তরফে দাবি করা হয়েছিল, সাধের প্রমোদতরীতে চড়েই দেশ থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছেন ইরাকের প্রাক্তন একনায়ক। যদিও ‘রাজা’ এবং ‘রাজত্বের’ অবসান হয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে পড়ে আছে এককালের বিলাসবহুল প্রমোদতরী ‘আল-মনসুর’।

Advertising
Advertising

[আরও পড়ুন: এখনও অনুব্রতর মুখোমুখি জেরা করা হয়নি মণীশকে, দাবি আইনজীবীর]

Advertisement
Next