সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস দেড়েক ধরেই চোখে অস্বস্তি বোধ করছিলেন এক মার্কিন মহিলা পর্যটক। মনে হচ্ছিল চোখের ভিতরে কিছু রয়েছে, নড়ছে-চড়ছে! ওই অবস্থাতেই সম্প্রতি আমেরিকা (America) থেকে ভারত আসেন তিনি। কিন্তু এদেশে এসে চোখের সমস্যা আরও বাড়ে। বাধ্য হয়ে দিল্লির (Delhi) এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের দেখান তিনি। চিকিৎসকরা জানান চোখে সংক্রমণ হয়েছে, সাধারণ সংক্রমণ না, প্রয়োজন অস্ত্রোপচার করতে হবে। সেই মতো অস্ত্রোপচার (Eye Surgery) হয় মহিলার চোখে। অস্ত্রোপচারের টেবিলে চক্ষু চড়কগাছ হয় খোদ চিকিৎসকদের। কারণ, তাঁরা বুঝতে পারেন মহিলার চোখে ঢুকে পড়েছে তিনটি জীবন্ত মাছি। এমনকী শরীরের অন্য অংশও পৌঁছে গিয়েছে মাছি। যদিও শেষ পর্যন্ত সফল হয় অস্ত্রোপচার। তিনটি মাছিকেই বের করা হয়।
দিল্লির ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩২ বছরের ওই মহিলার চোখে ঢুকে পড়েছিল ২ সেন্টিমিটার আকারের তিনটি জীবন্ত মাছি। ওই মাছিদের লার্ভা থেকেই চোখে সংক্রমণ হয় মহিলার। কিন্তু কীভাবে মাছি ঢুকে পড়ল ভারতে আসা ওই মার্কিন পর্যটকের চোখে?
[আরও পড়ুন: হামলার ঝুঁকি, রাম রহিমকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির সুরক্ষা দিল হরিয়ানা সরকার]
জানা গিয়েছে, মাস দুয়েক আগে তিনি পৃথিবীর বিখ্যাত আমাজনের জঙ্গলে বেড়াতে যান। চিকিৎসকরা বলছেন, জঙ্গলে ভ্রমণের সময়েই কোনওভাবে তিনটি মাছি ঢুকে পড়ে মহিলার চোখে। ক্রান্তীয় ও উপক্রান্তীয় অঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে বলেও জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মার্কিন মহিলা যখন চিকিৎসকদের পরামর্শ নিতে আসেন, তখন তাঁর দুই চোখে অস্বস্তি ছাড়াও ডান চোখটি লাল হয়ে উঠেছিল, ফুলে গিয়েছিল ওই চোখের উপরের পাতা।
মহিলার চোখে বিরল অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকদের যে দলটি তাঁদের অন্যতম ডা. মহম্মদ নাদিম। নাদিম জানান, “ক্রান্তীয় অঞ্চলে এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও এটি সাধারণ চোখের অসুখ নয়। ফলে পুঙ্খানুপুঙ্খ নিরীক্ষার প্রয়োজন ছিল। তা করার পরেই অস্ত্রোপচার হয়।”
[আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের আঁচ শেয়ার বাজারে, হুড়মুড়িয়ে পড়ল সেনসেক্স]
আরেক চিকিৎসক নারোলা ইয়াঙ্গার জানান, “২ সেন্টিমিটার সাইজের তিনটি জীবন্ত মাছি বেরিয়েছে অস্ত্রোপচারের পর। যার মধ্যে একটি ছিল ডান চোখের উপরের পাতায়, অন্যটি চলে গিয়েছিল গলার পিছনে, আরেকটি পৌঁছে যায় ডান হাতে, কাঁধের ঠিক নিচের অংশে।” ১৫ মিনিটের অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে। ভাল আছেন ভারতে আসা ওই মার্কিন মহিলা পর্যটক।