অরূপ বসাক, মালবাজার: রাত বেশ গভীর। জঙ্গল লাগোয়া রিসর্ট ঢুকে পড়ে একটি দাঁতাল হাতি। নিজের তালেই, ভিতরের দিকে এগিয়ে আসছিল সে। হঠাৎ হকচকিয়ে থমকে যায় হাতিটি। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে মুখ ঘুরিয়েই দে ছুট! হন্তদন্ত হয়ে গেট টপকে ফের জঙ্গলের দিকে চলে যায় হাতিটি। ওই রিসর্টের সিসিটিভিতে এই রকমই দৃশ্য ধরা পড়েছে।
কিন্তু হাতিটি ওই ভাবে পালিয়ে গেল কেন? মালিক জানাচ্ছেন, হাতিটি যেখানে থেমে গিয়েছিল, তার সামনেই ছিল ফাইবারের তৈরি প্রায় ১৯ ফুটের নকল হাতি (Elephant)। সেটা দেখেই ওই হাতিটি পালিয়ে গিয়েছে, বলে দাবি করছেন মালিক। পর দিন সকালে এই কাণ্ডের ফুটেজ দেখে শুনে হেসে লুটোপুটি কর্মীরা। অন্যদিকে, রিসর্টের কোনও ক্ষতি হয়নি ভেবেই খুশি মালিক।
[আরও পড়ুন: চব্বিশের লড়াইয়ে ‘পরিবারবাদ’! জনতার দরবারে কী ফল পেলেন নেতাদের সন্তানরা?]
মালবাজার (Mal Bazar) মহকুমার নাগ্রাকাটা ব্লকের আপার কলাবাড়ির এলাকায় চিরকাল হাতির উপদ্রব রয়েছে। মাঝে মধ্যেই লোকালয়ে চলে আসে হাতি। রবিবার রাতে কলাবাড়ি এলাকায় একটি বেসরকারি রিসর্টের পাঁচিল টপকে এলাকায় চলে আসে। রিসর্টের চত্বরে ফাইবারের বানানো একটি হাতি রয়েছে। যা পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য বানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। সেই নকল হাতিটিকে দেখেই ভয় পেয়ে যায় গজরাজের দে ছুট! বলে মনে করছেন তাঁরা।
নাগ্রাকাটার এই রিসর্টের কর্ণধার শেখ জিয়াউর রহমান বলেন, "নকল হাতিটি পর্যটকদের মনোরঞ্জনের জন্য তৈরি করে হয়েছে বহুদিন আগে। কিন্তু এভাবেও যে হাতিকে বোকা বানানো যায়, তা জানা ছিল না।" যার জেরে বড়ক্ষতির মুখে পড়তে হয়নি মালিককে। নকল হাতিটিই আসল হাতির তাণ্ডব থেকে বরাত জোরে বাঁচিয়ে দিল মনে বলে মনে করছেন হোটেল মালিক।