সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাতি ও মাহুতদের ভালোবাসা নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইসপারার্স’ ২০২৩ সালে অস্কার জিতেছে। সেই তথ্যচিত্রে দেখা গিয়েছিল ছোট্ট হাতি রঘুকে নিয়ে দুই মাহুত বোম্মান ও বেলির জীবনের গল্প। এই তথ্যচিত্র অস্কারজয়ের পর বোম্মান ও বেলি তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সেখানেই তাঁরা মাহুতদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করার দাবি জানান। সেই দাবি অবশেষে পূরণ হল। তামিলনাড়ু সরকার তাঁদের জন্য গড়ে দিল আলাদা এক গ্রাম। এ গ্রামের বাসিন্দারা সকলেই মাহুত। ভারতে এই প্রথম এমন সাধু উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলে।
তামিলনাড়ুর মুদুগুলু টাইগার রিজার্ভ এলাকায় তৈরি করা হয় মাহুত গ্রাম। গত ১৩ মে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিনের হাত ধরে গ্রামটির পথ চলা শুরু হয়েছে। দেশের মধ্যে প্রথম মাহুতদের জন্য তৈরি হওয়া গ্রামটিতে রয়েছে ৪৪ টি ঘর। ৫ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা খরচ করে এখানকার বাড়িগুলি তৈরি করেছে সে রাজ্যের বনবিভাগ।মাহুত গ্রামের উদ্বোধনে এসে স্ট্যালিন বলেন, “এবার বোম্মান ও বেলির ইচ্ছা পূরণ হয়েছে।”
জানা গিয়েছে, পুরো গ্রামটি তৈরি করার আগে ঘরগুলির নকশা, রাস্তার নামকরণ-সহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে মাহুতদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। তাঁদের পরামর্শমতোই গ্রাম তৈরির সমস্ত কাজ হয়েছে বলে বনবিভাগের আধিকারিকরা জানিয়েছেন। বন ও পরিবেশ বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সুপ্রিয়া সাহুর কথায়, “গোটা গ্রামটি সৌরবিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত। হাতিদের জন্য নিবেদিতপ্রাণ মাহুতের সম্মান জানিয়ে গ্রামের নামকরণ করা হয়েছে।”
ব্রিটিশ ভারতে, ১৯১৭ সালে তামিলনাড়ুর মুদুগুলু টাইগার রিজার্ভের থেপ্পাকাড়ুতে এলিফ্যান্ট ক্যাম্পের পথ চলা শুরু। বর্তমানে সেখানে ২৮টি হাতি রয়েছে। এই হাতিদের দেখাশোনা করা মাহুত ও তাঁদের সহযোগীদের জন্য এই পরিবেশবান্ধব গ্রাম তৈরি করা হয়েছে। সৌরবিদ্যুৎ চালিত এই গ্রামে থাকা ছোটো, বড় রাস্তাগুলির নামকরণ হয়েছে এই ক্যাম্পে বড় হওয়া ২৭টি হাতির নামে। এমনকী রাস্তার নামফলকগুলিতেও রয়েছে সেই হাতিদের ছবিই। এ এক বিরল ঘটনাই বটে!
