সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেনিসে ছুটি কাটাতে যাওয়া ছিল দম্পতির স্বপ্ন। সপরিবারে সেখানে গিয়েও মাঝপথে বাড়ি ফিরে গেলেন পরিবারের কর্তা। কেননা শাশুড়ি নাকি তাঁর টুথপেস্ট ব্য়বহার করছেন! সোশাল মিডিয়ায় এই কথা জানানোর পর কটাক্ষের শিকারও হলেন তিনি। ব্যাপারটা কী?
বছর আটত্রিশের ওই ব্যক্তির স্ত্রী চাইছিলেন এক রোম্যান্টিক শহরে বেড়াতে যেতে। সেই হিসেবে ভেনিসই ছিল তাঁর সবচেয়ে পছন্দের। ইটালি (Italy) সফরে তাঁরা ছা়ড়াও সঙ্গে ছিল তাঁদের পাঁচ বছরের শিশুকন্যা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে সেই দলে ঢুকে পড়েন মহিলার মা। যা একেবারেই নাপসন্দ ছিল স্বামী ভদ্রলোকটির। তিনি জানিয়েছেন, 'আমার স্ত্রী সবকিছু প্ল্যান করেছিল। হোটেল থেকে রেস্তরাঁ সবই ওর বুক করা।' আর সেখানেই আপত্তি ওই ব্যক্তির। কেননা একটি ঘরে দুটি বড় বিছানায় থাকতে হচ্ছিল চারজনে। শাশুড়ি নাকি তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর বিছানায় বসে পড়ছিলেন বার বার। এই ভাবে 'ব্যক্তিগত' স্পেসে ঢুকে পড়াটা একেবারেই ভালো লাগছিল না ভদ্রলোকের। এমনকী তাঁদের ব্যাগপত্তরও ঘাঁটাঘাঁটি করছিলেন শাশুড়ি। ব্য়বহার করছিলেন মেয়ের ফেসওয়াশ, শ্যাম্পু! কিন্তু তাঁর সবচেয়ে খারাপ লাগে টুথপেস্টের বিষয়টি। তিনি লিখেছেন, 'আমার একদমই ভালো লাগেনি ওঁর আমাদের টুথপেস্ট ব্যবহার করাটা। উনি নিজের ব্রাশটি রাখছিলেন আমাদের পেস্টের মুখের একেবারে কাছে। এটা নিয়ে ভাবতে গেলেই আমার অসুস্থ অনুভূতি হচ্ছিল।'
[আরও পড়ুন: ২ বছরে ভাঙল ৩ বার, নীতীশের ‘সাধের’ সেতু যেন সুকুমারের ‘বুড়ির বাড়ি’]
এর পরই তিনি স্ত্রীর কাছে এই নিয়ে প্রতিবাদ জানান। কিন্তু উলটে গিন্নি তাঁকেই একহাত নেন। ভদ্রলোকও রেগেমেগে বলতে থাকেন, সব খরচই তিনি করছেন, অথচ কথাও তাঁকেই শুনতে হচ্ছে। শেষমেশ নিজের বিমানের টিকিট বদলে সটান বাড়ি ফিরে যান তিনি। স্ত্রী ফোন করে বলেন, তাঁদের মেয়ে এই পুরো ব্যাপারটিতে খুবই বিমর্ষ হয়ে পড়েছে। তবুও মত তো বদলানইনি, বরং পরবর্তী সময়ে স্ত্রীর ফোনও ধরেননি ভদ্রলোক।
সোশাল মিডিয়ায় এই নিয়ে অভিমান প্রকাশ করে অবশ্য তিরস্কৃতই হয়েছেন ওই ব্যক্তি। অনেকেই বলেছেন, এই সামান্য সব বিষয়ে তাঁর বিরক্ত হওয়া এবং সফর ছেড়ে চলে আসাটা অবিশ্বাস্য। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মতো আচরণ করতে পারলে এটা হত না। ফলত কার্যতই কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। পরে অবশ্য সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ভদ্রলোক। জানিয়েছেন, তিনি তাঁর ভুল বুঝতে পেরেছেন। আগামিকালই ফোন করবেন স্ত্রীকে। কেননা তাঁকে তিনি বড্ড ভালোবাসেন। কোনওভাবেই হারাতে চান না সঙ্গিনীকে। তিনি মত বদলানোয় খুশি নেটিজেনরা। তাঁরা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন এই ভেবে যে, শেষ পর্যন্ত ওই ব্যক্তি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছেন। এবার ভালোয় ভালোয় ফ্যামিলি রিইউনিয়নটা হয়ে গেলেই হয়।