‘আনলিস্টেড’ অর্থাৎ অ-নথিভুক্ত। এমএসই-র এই ধরনের শেয়ার কেনা নিয়ে হালে বহু ইনভেস্টর আগ্রহ দেখিয়েছেন। সে কথা মাথায় রেখেই এই নিয়ে যে যে কথা না জানলেই নয়, তালিকাবদ্ধ করল টিম সঞ্চয়
এক্সচেঞ্জে লিস্টিং হওয়ার আগে “আনলিস্টেড” শেয়ার কেনার বিষয়ে ইদানিং কিছু লগ্নিকারী আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। সব পরিস্থিতিতে এই ধরনের অ-নথিভুক্ত শেয়ার পাওয়া যায় না, সর্বদা সুযোগও আসে না। বিশেষ ভাবে কিছু ব্রোকিং সংস্থার মাধ্যমে এই জাতীয় শেয়ার কিনতে পারেন সুযোগসন্ধানীরা। শর্ত মেনে পরে কোন দামে ছাড়তে পারবেন, অর্থাৎ মুনাফা নিয়ে বেচে দেবেন, তা নিয়েও চর্চা চলে বিনিয়োগকারী মহলে। যে সব আনলিস্টেড শেয়ার এই মুহূর্তে পাওয়া যাচ্ছে তার মধ্যে আছে Metropolitan Stock Exchange. এই বিষয়ে তথ্য এখন সীমিত সংখ্যক সূত্রের হাতে, তারই ভিতর থেকে কয়েকটি জোরাল পয়েন্ট –
১। মেট্রোপলিটন স্টক এক্সচেঞ্জ, সংক্ষেপে MSE, বিভিন্ন রেগুলেটারি অনুমতি পেয়েছে, প্রযুক্তির কাঠামোও তৈরি।
২। দুটি বৃহৎ এবং জনপ্রিয় ব্রোকিং প্ল্যাটফর্ম এর পিছনে – গ্রো এবং জিরোধা। দুটিই অন্য এক্সচেঞ্জে যথেষ্ট
সক্রিয়।
৩। MSE-র পরিকল্পনা অনুযায়ী, অনেক ধরনের পরিষেবা পাবেন ইনভেস্টররা। ডেরিডেটিভ, ডেট, ফান্ড – এই সবই থাকবে সেই তালিকায়। ইনডেক্স-নির্ভর প্রকল্পও তাতে যোগ হবে বলে জানা যাচ্ছে।
৪। এই মুহূর্তে ৫০০-র বেশি রেজিস্টার্ড মেম্বার আছে, প্রায় ২৫০টি শহরে MSE পৌঁছেছে। ষোলোটি ব্যাঙ্ক “ট্রেডিং পার্টনার” হিসাবে উপস্থিত। মোট লিস্টেড কোম্পানির সংখ্যা ২৬০-এর বেশি।
৫। এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের মতে সংস্থার রেভিনিউ বাড়ার ভালো সম্ভাবনা আছে আগামিদিনে। বিশেষত ইনডেক্স ডেরিভেটিভস এবং সংশ্লিষ্ট ইক্যুইটি ভিত্তিক পরিষেবার কল্যাণে তা ভবিষ্যতে দেখতে পারবেন ইনভেস্টররা। এই প্রসঙ্গে সেবির সাম্প্রতিক পলিসির উল্লেখ করা হচ্ছে। নানা কারণে নিয়ন্ত্রকের নীতি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সঙ্গে থাকবে: Tokenised Debt Platform
উদ্দেশ্য : বন্ডের বিশেষ একটি বেচাকেনার প্ল্যাটফর্ম গঠন করে, প্রযুক্তির চূড়ান্ত ব্যবহার করে অনেক ধরনের সার্ভিসেস সাধারণ ইনভেস্টরদের হাতে পৌঁছে দেওয়া। একটি “মার্কেট প্লেস” তৈরি হবে যেখানে “কাস্টডিয়ান” বন্ড হোল্ড করবে, এবং “টোকেন” ইস্যু করবে। এর মাধ্যমে বেশি সংখ্যক রিটেল ইনভেস্টররা অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হবে, আশা করা যায়। কর্পোরেট বন্ড এবং সরকারি ঋণপত্র (যাকে সাধারণত “জি-সেক” বলা হয়), দুই-ই এর আওতায় থাকবে।
কীসের সুবাদে এমএসই-তে আগ্রহী হবেন লগ্নিকারীরা?
সংস্থার মতে, ভারতীয়রা আরও ক্যাপিটাল মার্কেটে অংশ নেবেন, বিশাল সুযোগসুবিধা রয়েছে এই ক্ষেত্রে। ‘টোটাল অ্যাড্রেসেবল মার্কেট’ নিয়ে সকলেই আশাবাদী। নিয়ন্ত্রক সেবি-ও সহায়ক নীতি এনেছেন। ক্রমে জনপ্রিয় হবে স্টক ট্রেডিং–তার প্রতিফলন ইতিমধে্যই ব্রোকিং এবং ডিম্যাট অ্যাকাউন্টের সংখ্যা বৃদ্ধিতে দেখা যাচ্ছে। ‘আনট্যাপড মার্কেট’ এতটাই বড়, এবং বিস্তৃত। কোভিডের পরবর্তীকালে এই প্রবণতা বেড়ে গেছে, এও মনে করিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ইক্যুইটি, ডেট, ডেরিডেটিভস ছাড়াও সরকারি বন্ড, সোনা, রূপো এবং সমস্ত ধরনের মিউচুয়াল ফান্ডের দিকে নজর দিচ্ছেন ইনভেস্টররা।
বিঃদ্রঃ–এই লেখার মূল সূত্র Incred.
সঞ্চয়-এর কোনও পক্ষপাত নেই। বেচা-কেনার সিদ্ধান্ত লগ্নিকারীর এবং ঝুঁকি জেনেই বিনিয়োগ করা উচিত বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।