স্মলক্যাপ কমপাউন্ডার্স, হাই কোয়ালিটি রাইট প্রাইস, ভ্যালু অ্যান্ড মোমেন্টাম এবং গ্রোথ অ্যাট ফেয়ার প্রাইস। এই চারটি পৃথক পৃথক চরিত্রের বাস্কেট বাজারে এনেছে আইআইএফএল। এবারে টিম সঞ্চয়-এর কলমে রইল তারই বিস্তারিত তথ্য।
চারটে ভিন্ন-চরিত্রের “বাস্কেট” নিয়ে এসেছেন IIFL-কর্তৃপক্ষ। প্রতিটির বৈশিষ্ট্য অন্যগুলির থেকে আলাদা। ইনভেস্টররা যদি স্বতন্ত্রভাবে নিজেদের পোর্টফোলিও গঠন করতে চান, তাহলে এই ধরনের বাস্কেট পরখ করে দেখতে পারেন তাঁরা। আজ এই নিয়েই আলোচনা।
স্মলক্যাপ কম্পাউন্ডারস :
১। স্বল্প মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন, এমন স্টক বেছে নেওয়া হয়েছে।
২। যথেষ্ট আগে পজিশন নেওয়ার চেষ্টা করেন সংশ্লিষ্ট ম্যানেজার।
৩। “আর্লি স্টেজ” এখানে অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
৪। আট-দশটি সেক্টরের উপর জোর।
৫। কয়েকটি ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানির স্টক, এবং নতুন শ্রেণির এনার্জি, ট্রান্সপোর্টেশন ও অন্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত স্টক এখানে সামিল।
৬। “কনসেনট্রেশন”সম্বন্ধে জানানো হয়েছে। তার অর্থ, খুব বেশি সংখ্যক শেয়ার নেই এখানে – তাই ডাইভারসিফিকেশনে খামতি থাকা সম্ভব।
হাই কোয়ালিটি রাইট প্রাইস
ক। এখানে “আত্মনির্ভর ভারত”- থিমের উপর দাঁড়িয়ে যে সংস্থাগুলির ব্যবসা সম্প্রসারণ হচ্ছে, সেগুলি বেছে নেওয়া হয়।
খ। মাল্টি-ক্যাপ স্ট্র্যাটেজি মেনে চলা হয়, বিশেষ কোনও মার্কেট ক্যাপের প্রতি পক্ষপাত দেখানো হয় না।
গ। ফার্মা, কেমিক্যালস ইত্যাদি সংস্থার উপস্থিতি চোখে পড়ে এখানে।
ঘ। PLI অর্থাৎ প্রোডাকশন-লিঙ্কড ইনসেক্টিভ প্রকল্পের উপর নির্ভরশীল কোম্পানির দিকে নজর দেন ম্যানেজার।
সরকারি নীতির প্রয়োগ এবং তার উপযোগিতা যেখানে প্রকট, তার দিকে বিশেষ দৃষ্টি থাকে।
ভ্যালু অ্যান্ড মোমেন্টাম
১। নির্বাচিত শেয়ারগুলি মূলত আন্ডার ভ্যালুড কোম্পানি। একই সঙ্গে সেখানে মোমেন্টাম লক্ষ্যণীয়, এমনই খুঁজে নিতে চান পরিচালকরা।
২। “আন্ডার ভ্যালুড” ধারণাটি আপেক্ষিক – অর্থাৎ নির্বাচিত সংস্থার প্রতিযোগী কোম্পানিগুলির তুলনায়, শেয়ারের দাম যথেষ্ট আকর্ষণীয় হতে হবে।
৩। সামান্য হলেও গোল্ড এবং ডেট, এই দুই অ্যাসেট ক্লাসেও লগ্নি করা হয়। এর মাধ্যমে রিস্ক কমানোর চেষ্টা করেন ম্যানেজাররা।
৪। অ্যাসেট অ্যালোকেশন যাতে যথাযথ হয়, তার উপর জোর দেওয়া দরকার বলে মনে করেন তাঁরা। প্রফিটের যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকা দরকার, তা না হলে এই পোর্টফোলিওতে জায়গা পাবে না সংস্থাগুলি, এমনই জানানো হয়েছে।
গ্রোথ অ্যাট ফেয়ার প্রাইস
১। “ফেয়ার ভ্যালু” – এখানে মূল প্রতিপাদ্য।
২। এখানে ডাইভারসিফিকেশনের উপর জোর দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রেও সোনায় কিছুটা লগ্নি করা হয়, তাতে ঝুঁকি কমে আসে।
৩। অনেক ক্ষেত্রে নির্বাচিত সংস্থাগুলি যথেষ্ট সম্ভাবনাময় বলে গণ্য হলেও, প্রাথমিকভাবে বাছাই হওয়া সত্বেও, তালিকার অন্তর্ভূক্ত করা হয় না শেষ পর্যন্ত। তার কারণ “ফেয়ার প্রাইস”-এর ধারণার সঙ্গে স্টকের দাম মেলানো যায় না।
৪। পোর্টফোলিওর সামগ্রিক ভ্যালু যাতে খুব ওঠানামা না করে, তার দিকে ম্যানেজারদের নজর থাকে। উদ্দেশ্য যথেষ্ট রকম স্থিতিশীলতা বজায় রেখে, ইনভেস্টরদের “ওয়েলথ ক্রিয়েশন” নিশ্চিত করা।
কী ধরনের পোর্টফোলিও IIFL-এর নির্বাচিত বাস্কেটে আছে, তা বোঝাতে আমরা (কোনও পক্ষপাত ছাড়া) তুলে ধরছি Emerging Business Opportunities শীর্ষক একটি বিশেষ উদাহরণ। এর খুঁটিনাটি দেওয়া হল এখানে।
ক। নূন্যতম বিনিয়োগ = ৩,৫১,৯৬০ টাকা (১৩ই মে, ২০২৫)
খ। লংটার্ম লগ্নির পক্ষে সহায়ক।
গ। নতুন প্রযুক্তি সহ একাধিক “ইমার্জিং” গোত্রের ব্যবসায় নিয়োজিত, এমন সংস্থা এখানে উপস্থিত।
ঘ। যে সংস্থাটি পরিচালনা করছে : ALF Accurate Advisors। এর শুরু ২০০৯ সালে।
ঙ। মোট স্টকের সংখ্যা : ১৯
চ। প্রয়োজন মতো রিব্যালেন্সিং করা হয়ে থাকে।