অভিভাবকদের বিভ্রান্তি, দ্বন্দ্ব কাটাতে আমরা যোগাযোগ করেছিলাম লগ্নি বিশেষজ্ঞ
অনিমেষ সেনের সঙ্গে। তাঁর পরামর্শের নির্যাস নিচে তুলে ধরা হল-
দীর্ঘ পেশাদার জীবনে বহুবার দেখেছি শিশুদের প্ল্যানিং-এর ব্যাপারে অনেক বাবা-মা-ই কোন পথে এগোবেন, তা বুঝে উঠতে পারেন না। সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়ে যায়, নানা ধরনের প্রোডাক্টের ভিড়ে সঠিক প্ল্যানটি বেছে নেওয়াও কঠিন মনে হয়। তাই আজ নির্দিষ্ট কোনও ‘চাইল্ড প্ল্যান’-এর কথা বলতে চাই না, বরং একটি বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নিয়ে কিছু জরুরি প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চাই।
[আরও পড়ুন: কমোডিটি-তে লগ্নি হতে পারে লাভজনক, তবে অবশ্যই মাথায় রাখবেন এই বিষয়গুলি]
দেখুন, প্রথমেই অপেক্ষাকৃত তরুণদের আগে বলব–বিমার একটি সাধারণ পন্থা মেনে চলুন, যেটির ভিত্তি কোনও ভাল টার্ম প্ল্যান হবে। তার মানে চালু ‘চাইল্ড পলিসি’ ইত্যাদির দিকে না দৌড়ে, টার্ম পলিসির মাধ্যমে শুরু করুন। টার্ম নেওয়া হয়ে গেলে কোনও সাবেকি পলিসির কথা ভাবতে পারেন যেটি আপনাকে নির্দিষ্ট সময়ের পর টাকা দেবে। এই পেমেন্ট যেন আপনার শিশুর উচ্চশিক্ষার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাওয়া যায়।
হঁ্যা, মানছি এ ক্ষেত্রে আপনাকে দু’টি পলিসির কথা ভাবতে হবে। ক্ষতি নেই তাতে, কারণ এই পদ্ধতি সহজতর করে তুলবে আপনার জীবন। উপকারও হবে তাতে, কারণ টার্ম পলিসি সাধারণত সহজেই চালু করা যায়, এবং চালানোও বেশ সহজ। অন্য পলিসিটি অবশ্য কিঞ্চিৎ ভেবে-চিন্তে নেবেন, একটু নিষ্ঠাভরে, তেমন একটা অসুবিধার সম্মুখীন হবেন না, ধরে নেওয়া যায়।
তাহলে আমার ফর্মূলা এমন হতে পারে–
(১) টার্ম প্ল্যান
(২) সাবেকি পলিসি (অথবা ইউলিপ)
বাবা-মা হিসাবে আপনাদের জানতে হবে, প্রতি বছর কী ধরনের প্রিমিয়ামের খাতে খরচ হবে। যদি পলিসির পরিধি বাড়াতে চান, তাহলে তো কথাই নেই। খরচ ছাড়া যা মনে রাখতে হবে, তা হল সময়মতো প্রিমিয়াম দেওয়ার ব্যাপারে সতর্কতা। আপনাদের সন্তানের প্রয়োজনে অনেক আত্মত্যাগ তো প্রতিনিয়তই করতে হচ্ছে। ইনসিওরেন্স নিয়ে ওয়াকিবহাল হয়ে উঠুন। পড়াশোনা করুন শত ব্যস্ততার মধ্যেও। তাহলে আর অতটা শক্ত নাও লাগতে পারে।
আজ শেষ করছি একটি ভীষণ জরুরি বিষয়ের দিকে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করে। হেলথ ইনসিওরেন্সের কথা বলছি, বিশেষত ফ্যামিলি ফ্লোটার জাতীয় প্ল্যানের কথা মনে করিয়ে িদচ্ছি। স্বাস্থ্য বিমা যখন করবেন, ফ্লোটার নিতে ভুলবেন না। নিজের পরিবার তথা সন্তানের কথা ভেবে পদক্ষেপ নেওয়ার প্রকৃষ্ট সময়টি এভাবেই সদ্ব্যবহার করলেই ভাল।