Advertisement
নৈহাটিতে এখন লখনউয়ের ‘তেহজিব’, নবাবী খানা আর আভিজাত্যের নতুন ঠিকানা 'আওয়াধ রেস্টুরেন্ট'
আওয়াধী ঘরানার শুদ্ধতা আর ‘নাজাকাত’—এক পাতেই ফিরে পান হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস।
উত্তর ২৪ পরগনার খাদ্যরসিকদের জন্য বিরাট সুখবর। লখনউয়ের সেই নবাবী মেজাজ উপভোগ করতে আপনাকে আর লখনউ বা মেটিয়াব্রুজ ছুটতে হবে না। নৈহাটির বুকেই আওয়াধ রেস্টুরেন্ট নিয়ে এসেছে ইতিহাসের সেই আস্বাদ। সরাসরি নবাবী পাকশালা থেকে উঠে আসা সেই গোপন রেসিপি। ভোজনরসিকদেরকে যা মোহাবিষ্ট করবেই। আওয়াধী রন্ধনশৈলীর শুরু সেই সপ্তম শতকের তন্দুর আর মুঘল সম্রাটদের পৃষ্ঠপোষকতায়। মুঘল সাম্রাজ্যের অস্তমিত লগ্নে লখনউ যখন হয়ে উঠল শিল্প ও সংস্কৃতির কেন্দ্রবিন্দু, তখনই জন্ম নিল এই অনন্য ঘরানা। নবাব আসাফ উদ দৌলা ও ওয়াজিদ আলি শাহের সেই ঐতিহ্যের ব্যাটন এখন নৈহাটির ‘আওয়াধ’-এর হাতে।
নৈহাটি স্টেশনের ঠিক কাছেই ঋষি বঙ্কিম সরণিতে অবস্থিত এই রেস্টুরেন্ট। ভেতরে ঢুকলেই পাবেন লখনউয়ের রাজকীয় আভিজাত্য বা ‘অ্যারোমা অফ লখনউ’। চমৎকার আলোকসজ্জা আর মোলায়েম আবহ আপনাকে এক নিমেষে পৌঁছে দেবে নবাবী দরবারে।
আওয়াধ মানেই ‘নাফাসৎ’ (শুদ্ধতা) আর ‘নাজাকাত’ (মোলায়েম ভাব)। এখানের রন্ধনশৈলীতে মশলার কোনও উগ্র স্বাদ বা কৃত্রিম গন্ধের ঝাঁঝ পাবেন না। রান্নার সূক্ষ্মতা আর বিশুদ্ধতা বজায় রাখাই আওয়াধের মূল বিশেষত্ব।
উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ যখন কলকাতায় নির্বাসিত হলেন, তখন মাংসের সঙ্গে আলুর যে ‘শাহী এন্ট্রি’ ঘটেছিল বিরিয়ানিতে, সেই আসল কলকাতার বিরিয়ানির স্বাদ এখানে আপনি পাবেন। লখনউয়ের তন্দুর আর মেটিয়াব্রুজের দমের বাহাদুরি—দুই-ই মিলবে এক থালায়।
এখানকার ‘দমপক্ত’ পদ্ধতিতে তৈরি বিরিয়ানি এক কথায় অনন্য। এছাড়া জিভে জল আনা গালৌটি কাবাব, রেশমি কাবাব, মটন শাহি কোরমা এবং লখনউই পরাঠা ভোজনরসিকদের সেরা পছন্দ।
বিরিয়ানির হাঁড়িতে শুধু চাল বা মাংস নয়, দেওয়া হয় ‘দম’-এর জাদু। হালকা আঁচে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রান্না হওয়া প্রতিটি ডিশে মশলার স্বাদ মাংসের গভীরে পৌঁছয়, যা মুখে দিলেই মিলিয়ে যেতে বাধ্য।
Published By: Buddhadeb HalderPosted: 04:12 PM Dec 24, 2025Updated: 04:35 PM Dec 24, 2025
Sangbad Pratidin News App
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
