shono
Advertisement

Breaking News

জ্ঞানবাপীর পর এবার কাশীর আরেক মসজিদে পুজোর দাবি, আবেদন জমা পড়ল আদালতে

দাবি, ঔরঙ্গজেব ওই মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।
Posted: 10:37 AM Jun 01, 2022Updated: 10:37 AM Jun 01, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২১-এর আগস্টে পাঁচ হিন্দু মহিলা জ্ঞানবাপীর ‘মা শৃঙ্গার গৌরী’ (ওজুখানা ও তহখানা নামে পরিচিত) এবং মসজিদের অন্দরের পশ্চিমের দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে তা পূজার্চনার অনুমতি চেয়েছিলেন বারাণসী আদালতে। সেই নিয়ে মামলার শুনানি চলছে। এর মধ্যেই কাশীর (Kashi) এক মসজিদে পূজার্চনার আরজি জানিয়ে জমা পড়ল পিটিশন। ৪ জুলাই সেই মামলার শুনানি।

Advertisement

বহুদিন ধরেই মথুরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে (Krishna Janmabhoomi) নির্মিত শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। সম্প্রতি জ্ঞানবাপী মসজিদের ভিতরে ‘শিবলিঙ্গ’ থাকার দাবি ঘিরেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এই আবহেই এবার নতুন সংযোজন কাশীর পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছেই অবস্থিত মসজিদ। আবেদনকারীদের দাবি, ‘বারাণসী গেজেটার’ নামের ইতিহাস বইয়ে উল্লেখ রয়েছে পঞ্চগঙ্গার তীরে অবস্থিত বিন্দুমাধব মন্দিরের কথা। সেই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা ছিল বিষ্ণু। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ঔরঙ্গজেব ওই মন্দির ধ্বংস করে দেন। সেখানে তৈরি হয় মসজিদ।

[আরও পড়ুন: ‘ওরা নিজেরাও ডুববে, অন্যকেও ডোবাবে’, কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন না, ঘোষণা প্রশান্ত কিশোরের]

আবেদনকারীদের আইনজীবী রাজা আনন্দ জ্যোতি সিং জানিয়েছেন, পিটিশনে সেই মন্দির পুনর্নিমাণের দাবি জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, আগামী শনিবার জ্ঞানবাপী মসজিদের মামলার শুনানির দিনই এই মামলারও শুনানি রয়েছে।

২০০২ সালে প্রথমবার আলোচনায় উঠে আসে ‘বেণীমাধব কা ধারাহারা’র নাম। সেই সময় পঞ্চগঙ্গা ঘাটের কাছে বসবাসকারী কয়েকজন তৈরি করেন ‘বেণীমাধব কা ধারাহারা বাঁচাও সমিতি’। উদ্দেশ্য ছিল, ওখানে নির্মিত সৌধের রক্ষা। দাবি, সেই সৌধের মধ্যেই নাকি ছিল বিন্দুমাধব মন্দির। ১৯৯৭ ও ২০১৪ সালে যথাক্রমে স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবসে পতাকা উত্তোলন করতে চেয়েছিলেন দক্ষিণপন্থীরা। সেই সময় পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। সেই বিতর্কই নয়া মোড় নিল এবার।

এদিকে জ্ঞানবাপী মসজিদের (Gyanvapi mosque) চত্বরে ভিডিও সার্ভের সময় তোলা ভিডিও ও ছবি ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। হিন্দুপক্ষ অস্বীকার করেছে সার্ভের ভিডিও, ছবি ও রিপোর্ট ফাঁস করার অভিযোগ। যদিও মুসলিম পক্ষের দাবি, ওই ভিডিও ও ছবি ফাঁস করেছে হিন্দুরাই।

[আরও পড়ুন: মাথায় ও মুখে ছিল ক্ষতচিহ্ন? সংগীতশিল্পী কেকে’র অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement