সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নারী নির্যাতনের অভিযোগে শিরোনামে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। রাজ্যের বরেলিতে গণধর্ষণের (Gang rape) শিকার হলেন এক অন্তঃসত্ত্বা। ধর্ষণের পরই দেখা গেল তাঁর গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। সেই মৃত ভ্রূণ হাতে নিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যদিও পুলিশের দাবি, প্রাথমিক তদন্ত যতটা এগিয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা গর্ভবতী ছিলেন না এবং তাঁর গণধর্ষণও হয়নি।
ঠিক কী হয়েছিল? নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ, গত ১৩ সেপ্টেম্বর ওই মহিলাকে গণধর্ষণ করা হয়। তিনি তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। ক্ষেতের কাজ সেরে ফেরার পথে মাঠের মধ্যে নিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। তারপর সেখানেই নির্যাতিতাকে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খুঁজতে বেরোন। আর তখনই দেখা যায় রক্তাক্ত অবস্থায় ওই মহিলা পড়ে আছেন মাঠের পাশে। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপরই জানা যায়, ওই মহিলার গর্ভপাত হয়ে গিয়েছে। এরপর মৃত ভ্রূণটি নিয়ে থানায় যান তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতন হত্যাকাণ্ড: প্রতিবেশী খুদেকে খুনের কথা স্বীকার ধৃত রুবির, প্রকাশ্যে চাঞ্চল্যকর ভিডিও]
ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তিন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। যদিও বুধবার পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলা আদৌ অন্তঃসত্ত্বাই ছিলেন না। এবং তাঁকে ধর্ষণও করা হয়নি। তাদের দাবি, অভিযুক্তদের সঙ্গে ওই পরিবারের গণ্ডগোল ছিল। আর সেই কারণেই মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। বরেলি পুলিশের তরফে একটি টুইট করে জানানো হয়েছে, মেডিক্যাল পরীক্ষায় পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে নির্যাতিতা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন না।
বরেলির এসপি রাজকুমার অগ্রবাল জানিয়েছেন, ”এখনও পর্যন্ত হওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, ওই মহিলা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন না। যদিও আমরা জানাতে পেরেছি ওই পরিবারের তরফে মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়েছে। যদি দেখা যায় পরে গর্ভপাতের প্রমাণ মিলেছে, তাহলে আমরা মেডিক্যাল বোর্ডকে পাঠিয়ে সেই হিসেবে তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যাব। এখনও পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গর্ভপাত বা গণধর্ষণের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”