সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর্চির পর যে দ্বিতীয় সন্তানের বাবা-মা হতে চলেছেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মর্কেল, সে খবর ইতিমধ্যেই মিলেছে। এবার জানা যাচ্ছে, বাড়িতেই সন্তান জন্ম দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেগান। এই প্রথমবার আমেরিকায় ভূমিষ্ঠ হতে চলেছে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য।
গত মাসেই আর্চির দাদা হওয়ার সুখবর দিয়েছিলেন হ্যারি ও মেগানের মুখপাত্র। প্রকাশ্যে আসে সাসেক্সের ডিউক ও ডাচেসের একটি সাদা-কালো ছবিও। যেখানে গাছের নিচে বসে রয়েছেন হ্যারি। আর তাঁর কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছেন মেগান। সেখানেই স্পষ্ট ছিল তাঁর বেবি বাম্প। দু’জনের মুখেই চওড়া হাসি। খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্র বাকিংহাম প্যালেসের তরফে হ্যারি ও মেগানকে অভিনন্দন জানানো হয়েছিল। এবার ফক্স নিউজের রিপোর্টে জানা গিয়েছে, আমেরিকায় নিজেদের নতুন বাড়িতেই কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন মেগান। রাজ পরিবার থেকে বেরিয়ে আসার পর গত বছর ক্যালিফোর্নিয়ায় বাড়ি কেনেন হ্যারি ও মেগান (Meghan Markle)। সেখানেই আসতে চলেছে নতুন অতিথি।
[আরও পড়ুন: ভারত-পাক সুসম্পর্কের বার্তা দিয়ে এবার মোদিকে চিঠি লিখলেন ইমরান খান]
২০১৮ সালের মে মাসে মার্কিন অভিনেত্রী মেগানকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন প্রিন্স হ্যারি (Prince Harry)। সে বছর মে মাসে উইন্ডসোর কাসলে বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। বছর খানেক পরই মেগানের কোল আলো করে আসে ছেলে আর্চি। আর গত বছরের গোড়ায় জীবনের কঠিন সিদ্ধান্ত নেন ডিউক ও ডাচেস। জানিয়ে দেন, রাজ পরিবার ত্যাগ করতে চলেছেন তাঁরা। স্বনির্ভর হবেন, সাধারণ জীবনযাপন করবেন বলে ছাড়েন রাজপ্রাসাদ। ত্যাগ করেন রাজকীয় উপাধি, সুযোগ-সুবিধাও। আমেরিকাতেই নতুন করে জীবন শুরু করেছেন রাজ পরিবারের দম্পতি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি ব্রিটিশ রাজ পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গম্ভীর অভিযোগ করেছিলেন মেগান। এক সাক্ষাৎকারে তিনি অভিযোগ করেন, রাজ পরিবার তাঁদের সন্তানের গায়ের রং নিয়ে চিন্তিত ছিল। এ ব্যাপারে হ্যারির সঙ্গেও আলোচনা করেছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। আসলে মেগানের বাবা শ্বেতাঙ্গ হলেও মা ছিলেন কৃষ্ণাঙ্গ। সেই কারণেই রাজ পরিবারের উদ্বেগ ছিল, মেগানের সন্তান হয়তো পুরোপুরি ফরসা নাও হতে পারে। এমনকী এক সময় মানসিক চাপে পড়ে আত্মহত্যার কথাও মাথায় এসেছিল মেগানের। যদিও মেগানকে পালটা দিয়ে তাঁর অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ করতে বলে রাজ পরিবার। ফলে সম্প্রতি হ্যারি-মেগানের সঙ্গে রয়্যাল পরিবারের দূরত্ব যে আরও বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য।