সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সবচেয়ে বেশি নির্বাচনী বন্ড কিনেছিলেন। সেই স্যান্তিয়াগো মার্টিন (Santiago Martin) সবচেয়ে বেশি অনুদান দিয়েছেন তৃণমূলকে। নিজের অনুদানের মোট ৪০ শতাংশ তিনি দিয়েছেন ঘাসফুল শিবিরে। বিশাল অঙ্কের অনুদান দিয়েছেন তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকের তহবিলেও। তবে বিজেপিকে সেই তুলনায় অনেক কম অনুদান দিয়েছেন লটারি কিং।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশে বৃহস্পতিবার নির্বাচনী বন্ড (Electoral Bond) সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য প্রকাশ করেছে এসবিআই। সেই তথ্য আপলোড করা হয়েছে নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে। সেখানেই দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলকে (TMC) অন্তত ৫৪০ কোটি টাকা দিয়েছে মার্টিনের সংস্থা ‘ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস’। সবমিলিয়ে তারা কিনেছে মোট ১,৩৬৮ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড। অর্থাৎ নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে মার্টিনের দেওয়া মোট অনুদানের ৪০ শতাংশই গিয়েছে ঘাসফুল শিবিরে। ফিউচার গেমসের থেকেই সবচেয়ে বেশি অঙ্কের চাঁদা পেয়েছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: আম্বানির ঘনিষ্ঠ সংস্থার ৯১ শতাংশ চাঁদা বিজেপিকে, মোদির পার্টি ফান্ডে আর কে কত দিল?]
এই স্যান্টিয়াগোর মূল ব্যবসা লটারি। তিনি লটারি কিং নামেও পরিচিত। তামিলনাড়ু থেকে শুরু করে গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর ব্যবসা। সেই তামিলনাড়ুর শাসক দল ডিএমকে প্রায় ৫০৯ কোটি টাকা দিয়েছে স্যান্টিয়াগোর সংস্থা। দেশের প্রায় সব রাজনৈতিক দলেই কিছু না কিছু অনুদান দিয়েছে ফিউচার গেমস। অন্ধ্রের ওয়াই এস আর কংগ্রেসকে ১৬০ কোটি টাকা, বিজেপিকে (BJP) ১০০ কোটি টাকা এবং কংগ্রেসকে ৫০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে।
উল্লেখ্য, সিকিম সরকারের থেকে ৪৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ ওঠে স্যান্টিয়াগোর বিরুদ্ধে। সেরাজ্যের দুই দলকেও ‘সামান্য’ অনুদান দিয়েছে তাঁর সংস্থা। উল্লেখ্য, নির্বাচনী বন্ড থেকে সবচেয়ে বেশি আয় করেছে বিজেপি। ৬৯৮৬.৫ কোটি টাকা পড়েছে গেরুয়া শিবিরের তহবিলে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল মোট ১৩৯৭ কোটি টাকা পেয়েছে এই বন্ড থেকে। তৃতীয় স্থানে থাকা কংগ্রেস পেয়েছে ১৩৩৪ কোটি। তেলেঙ্গানার বিআরএসের খাতায় পড়েছে ১৩২২ কোটি টাকা।