সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি অভিজ্ঞ। আইএসএলের সফল কোচ। সেই আন্তোনিও লোপেজ হাবাস (Antonio Habas) শনিবাসরীয় ডার্বি যুদ্ধে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) রিমোট কন্ট্রোল হাতে দাঁড়াবেন। স্বদেশীয় কার্লেস কুয়াদ্রাতের সঙ্গে তাঁর মগজাস্ত্রের লড়াই। দুই শিবিরই ফুটছে। আইএসএলের মহাম্যাচের আগে মোহনবাগানের হেডস্যর আন্তোনিও লোপেজ হাবাস ইস্টবেঙ্গল শিবিরকে একপ্রকার হুমকি দিয়ে রাখলেন। বড় ম্যাচের আগেরদিন সাংবাদিক বৈঠকে অভিজ্ঞ কোচ জানিয়ে দিলেন ডার্বিতে তিনি কোনওদিন হারেননি। সাহসী মন্তব্য স্প্যানিশ কোচের। জাতীয় দলের ফুটবলাররা ফিরে এসেছেন। চোট আঘাত রয়েছে মোহন শিবিরে। কিন্তু সবুজ-মেরুনের দলটা ধারে ও ভারে অনেকটাই এগিয়ে, একথা বলাই বাহুল্য। হাবাস নিজেও ফুরফুরে মন নিয়ে ডার্বি যুদ্ধে নামছেন। ডার্বি পরিসংখ্যান তাঁর হয়ে কথা বলছে যে।
[আরও পড়ুন: ডার্বি-পুজোয় গায়ে ওঠে নতুন জামা, শিবপুরের ত্রিদীপের ভালবাসার পৃথিবীর রং সবুজ-মেরুন]
মরশুমের মাঝপথে হুয়ান ফেরান্দোকে সরিয়ে আন্তোনিও হাবাসকে হেড কোচ করা হয়েছে। সুপার কাপের গ্রুপ পর্বে ইস্টবেঙ্গলের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডকে। সুপার কাপ জয় ইস্টবেঙ্গল শিবিরের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে। বহু যুদ্ধের সৈনিক হাবাস বলছেন, ”ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে আমি কখনও হারিনি। এটাই আমার মানসিকতা। কার্লেস কুয়াদ্রাতের সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনও লড়াই নেই। আমি ডার্বি ম্যাচ নিয়েই ভাবছি। ম্যাচটা জেতারও চেষ্টা করব।”
মোহনবাগানে ফিরে খুশি স্প্যানিশ মায়েস্ত্রো। সেকথা সাংবাদিক বৈঠকেও জানান তিনি। হাবাস বলছেন, ”আমি মোহনবাগানে ফিরতে পেরে খুশি। জাতীয় দলের প্লেয়াররা ফিরে এসেছে। আমি স্বস্তিতে রয়েছি। আমাদের স্কোয়াড বেশ ভালো।”
অভিজ্ঞ হাবাস আরও বলছেন, ”আমরা অত্যন্ত লড়াকু দল। ডার্বিতে দেখা গিয়েছে ম্যাচের শুরুতে একটা দল আধিপত্য দেখায়। কিন্তু ম্যাচটা শেষ হয় অন্যভাবে। আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব।”
শনিবার বাংলা ভাগ হওয়ার সেই ম্যাচ। শহরের সব রাস্তা এসে মিশবে যুবভারতীতে। কে জিতবে, শেষ হাসি তোলা থাকবে কার জন্য, তার জবাব আপাতত সময়ের গর্ভে।