স্টাফ রিপোর্টার: সুপার কাপ জয়ের পর ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আইএসএলের (ISL) অনুশীলনে নামল ইস্টবেঙ্গল। আর প্রথমদিনই প্র্যাকটিসে গরহাজির প্রভসুখন সিং গিল! শনিবাসরীয় ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের এমনিই দু’জন বিদেশি কম, শৌভিক চক্রবর্তীও নেই কার্ড সমস্যায়। তার উপর ভরসাযোগ্য গোলকিপার ডার্বির দু’দিন আগে প্র্যাকটিসে না থাকা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল সমর্থকদের মধ্যে।
যদিও অনুশীলন শেষে তাঁদের ভরসা দিলেন খোদ কার্লেস কুয়াদ্রাত। বলে গেলেন, “গিল ঠিক আছে। ওর একটু ঠাণ্ডা লেগেছে। তাই আজ অনুশীলনে আসেনি।” গিল নিয়ে জল্পনা ওড়ালেও ডার্বিতে মাঝমাঠ বড় চ্যালেঞ্জ হবে কুয়াদ্রাতের জন্য। যা পরিস্থিতি, শনিবার খান চারেক বদল করে নামবে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal)। আক্রমণে মহেশ ফিরছেন, বোরহার পরিবর্তে বিষ্ণু খেলতে পারেন শুরু থেকে। ডিফেন্সে ফিরছেন লালচুংনুঙ্গা। আর মাঝমাঠে শৌভিকের পরিবর্ত হিসাবে পার্দো জুটি বাঁধবেন ক্রেসপোর সঙ্গে। এদিন অনুশীলনের আগে দীর্ঘক্ষণ দুই স্প্যানিশের সঙ্গে কথাও বলেন কুয়াদ্রাত। তবে ক্রেসপো আর নন্দকুমার সেভাবে অনুশীলন করেননি। যদিও পরে নন্দকুমার জানালেন, দলে কোনও চোট সমস্যা নেই।
[আরও পড়ুন: ফুটবল না ছেলেখেলা! মেসির ইন্টার মিয়ামিকে ৬ গোল দিল রোনাল্ডোহীন আল-নাসের]
ডার্বির (Derby) জন্য তৈরি লাল-হলুদের দুই হার্টথ্রব ক্লেটন সিলভা আর নন্দকুমারও। শেষ ডার্বির দুই গোলদাতাই এদিন অনুশীলনে ছিলেন সাবলীল। মাঠ ছাড়ার আগে ক্লেটন বলে গেলেন, “আমাদের কে আছে আর কে নেই, তা নিয়ে ভাবছি না। ডার্বির জন্য আমরা তৈরি।” সুপার কাপ জিতে ফেরা দলকে বিমানবন্দরে যেভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, তাতে এখনও মোহাবিষ্ট ক্লেটন। বললেন, “এর আগে কখনও এমন দৃশ্য দেখিনি। থাইল্যান্ডেও সমর্থকরা খুব উৎসাহী ছিলেন। ওখানে অনেক খেতাবও জিতেছি। তবে সেসময় থাইল্যান্ডের রাজা মারা যাওয়ার কোনও উৎসব হয়নি। আমার সেই আক্ষেপ মিটে গিয়েছে।”
নন্দ আবার ডার্বিতে গোল করা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন। শনিবারও সেই ধারা অব্যহত রাখতে তৈরি তিনি। বললেন, “আমি সব ম্যাচে গোল করতে চাই। সেখানে ডার্বি তো সবচেয়ে বড় ম্যাচ।” এরমধ্যেই এদিন নতুন বিদেশি হিসাবে ফরোয়ার্ড ফেলিসিও ব্রাউন ফোর্বসের নাম ঘোষণা করল ইস্টবেঙ্গল। জার্মানির বয়সভিত্তিক দলে খেলার পর কোস্টা রিকার জাতীয় দলের হয়েও খেলেছেন তিনি।