সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের হকি গোলকিপার শ্রীজেশ (Sreejesh) উচ্ছ্বসিত টিম ইন্ডিয়ার তারকা স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে (Ravi Ashwin) নিয়ে।
ভারত-পাক হকি ম্যাচের আগে দেখা গিয়েছে একে অপরকে জড়িয়ে ধরছেন। ম্যাচ শেষে শ্রীজেশ ভারতের তারকা স্পিনারের প্রতি আবেগ ঢেলে দিয়ে বলছেন, ”অশ্বিন কিংবদন্তি। অভিজ্ঞ একজন ক্রিকেটার। এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছে। ওর মতো এত বড় মাপের ক্রিকেটার আমাকে যে চিনতে পেরেছে, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ।’’
ভারত-পাক হকি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল চেন্নাইয়ের মেয়র রাধাকৃষ্ণণ হকি স্টেডিয়ামে। সেই ম্যাচের বল গড়ানোর আগে এক দারুণ দৃশ্য দেখা যায়। স্টেডিয়ামে হর্ষধ্বনি। দর্শকদের চিৎকারে কান পাতা দায়। ম্যাচ শুরুর আগে দেখা যায় তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন মাঠে নামছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন আন্তর্জাতিক হকি সংস্থার সভাপতি তৈয়ব ইকরাম ও ভারতীয় হকি সংস্থার সভাপতি দিলীপ তিরকে।
[আরও পড়ুন: ডার্বির আগে ‘ফাইভ স্টার’ মোহনবাগান, কলকাতা লিগে এফসিআই-কে হেলায় হারাল সবুজ-মেরুন]
তবে কি এই গগনভেদি চিৎকার তাঁদের জন্যই! কিন্তু না, দর্শকদের উন্মাদনা, চিৎকার, হর্ষধ্বনি সবই একজনকে কেন্দ্র করে। তিনি রবিচন্দ্রন অশ্বিন। হকি মাঠে কোথায় হকি খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেওয়া হবে, পাকিস্তানের মতো চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে নামার আগে চিয়ার করা হবে খেলোয়াড়দের। সে সব নয়, উলটে অশ্বিনকে নিয়ে মাতোয়ারা গোটা স্টেডিয়াম। এতেই বোঝা যায়, এদেশে ক্রিকেট থাবা বসিয়েছে অন্য খেলায়।
সে অবশ্য বিতর্কের কথা! বিতর্কের কথা বলে কাজ নেই। এ ছবি কাছে টেনে নেওয়ার। কাছে আসার। একে অপরকে স্বীকৃতি দেওয়ার। শ্রীজেশ খুশি অশ্বিনের ব্যবহারে। তাঁকে কাছে টেনে নেওয়ায়। সেই কারণে শ্রীজেশকে বলতে শোনা যায়, ”অশ্বিন এসে আমাকে শুভেচ্ছা জানায়। ভাল খেলার জন্য উদ্বুদ্ধ করে যায়। ওর কথা আমার সারা জীবন মনে থাকবে।”