সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আরসিবি'র সেলিব্রেশনে বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিতর্ক থামার লক্ষণই নেই। শুক্রবার সকালে আরসিবির মার্কেটিং হেড নিখিল সোসালে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এই গ্রেপ্তারির বিরুদ্ধে তিনি কর্নাটক হাই কোর্টে চ্যালেঞ্জ করে জানিয়েছেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করা বেআইনি ও রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
আরসিবির বিজয় সেলিব্রেশনে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু ঘটেছে, আহত ৫০-র বেশি। সম্প্রতি একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রের রিপোর্ট অনুযায়ী, আদালতে সোসালে জানিয়েছেন, মূলত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার মৌখিক নির্দেশের ভিত্তিতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। গভীর রাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যা অনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সোসালের বক্তব্য, তাঁকে গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার অভিমুখ ঘুরিয়ে আরসিবি ও তার কর্মীদের উপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কোনও তদন্ত ছাড়াই ব্যক্তিবিশেষকে অভিযুক্ত করা হচ্ছে।
সোসালের আইনজীবীর দাবি, যে ইন্সপেক্টর এফআইআর করেছিলেন, সেই একে গিরিশাকেই পরে বরখাস্ত করা হয়। তাহলে গ্রেপ্তারের আইনি পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। তিনি আরও জানান, রাজনৈতিক আদেশের ভিত্তিতে এভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করা যায় না। যা স্পষ্টই সোসালের সাংবিধানিক অধিকারকে ক্ষুণ্ণ করছে। তাছাড়া এমন কোনও প্রমাণ নেই যে ওই দুর্ঘটনার নেপথ্যে সোসালের গাফিলতি রয়েছে। যদিও রাজ্যের আইনজীবীর মতে, সোসালেকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে, নাহলে তিনি দেশ ছেড়ে পালাতেন।
বিচারপতি এসআর কৃষ্ণকুমার জানিয়েছেন, পরবর্তী শুনানি হবে ৯ জুন। এর মধ্যে সরকার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানালে, সোসালেকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অন্যদিকে গোটা ঘটনার নৈতিক দায়স্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার সভাপতি এ শঙ্কর ও কোষাধ্যক্ষ ই জয়রাম।
