সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রৌঢ় অটো চালকের ‘মৃত্যু’ হয়েছিল। যার পর নিয়ম মতো শেষকৃত্য সারেন পরিবারের লোকেরা। যদিও পরদিন বন্ধুর সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলেন মৃত ব্যক্তি। মহারাষ্ট্রের (Maharashta) পালঘর জেলার এমন ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, মৃত হঠাৎ জীবিত হলেন কী করে? আদৌ কি এই দাবি সত্যি?
ঘটনার সূত্রপাত ২৯ জানুয়ারি রাতে। ওইদিন ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃত এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বইসার ও পালঘর স্টেশনের (Palghar Station) মাঝে রেল লাইন থেকে দেহ উদ্ধার হয়। জিআরপি (GRP) ওই ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করেছিল। যার পর পালঘরের বাসিন্দা এক ব্যক্তি দাবি করেন, মৃত ব্যক্তি তার দাদা রফিক শেখ। যিনি মাস খানেক আগে নিরুদ্দেশ হন। এই বিষয়ে জিআরপি ইন্সপেক্টর নরেশ রনধির বলেন, “মৃতের ভাই একথা বলার পর তাঁর স্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তিনিও মৃতদেহ চিহ্নিত করেন।” এর পরেই হস্তান্তর করে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ত্রিপুরার সভায় বাম-কংগ্রেস জোটকে তুলোধনা শাহের, নাম নিলেন না তৃণমূলের]
দিন দুই আগে মৃতদেহের শেষকৃত্য সারেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু রবিবার আঁতকে ওঠেন রফিকের এক বন্ধু। কোনওভাবে ‘মৃতে’র নম্বরে ভিডিও কল করে বসেছিলেন তিনি। বন্ধুকে চমকে ফোন ধরেন রফিক। দিব্য আলাপ চালান তিনি। কথোপকথনের সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। এর পর অটো চালকের পরিবারকে গোটা বিষয়ে জানানো হয়। তারাও রফিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং অবাক হন। ভুল বুঝতে পারন। এর পর পরিবারের লোকেরাই পুলিশকে বিষয়টি জানান।
[আরও পড়ুন: উড়ান ধরতে না পেরে বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগ, গ্রেপ্তার মহিলা যাত্রী]
পুলিশের বক্তব্য, যাবতীয় নিয়ম মেনে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ হস্তান্তর করা হয়েছিল রফিকের পরিবারকে। এখনও বোঝা যাচ্ছে ওই দেহ অন্য কারও। এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, এখন আমাদের কাজ হল অজ্ঞাত মৃত ব্যক্তির প্রকৃতি ঠিকানা তথা পরিবারকে খুঁজে বার করা। যদিও দেহ কবর দেওয়ায় সেই কাজ কঠিন হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।