ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তৃণমূল নেত্রীর (TMC leader) সভা শুরুর আগেই বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কয়েকজন। শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সদস্যরা সভাস্থলেই নিজেদের দাবি-দাওয়া পেশ করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ব্যারিকেডের উপরে উঠে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ হন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু সভা শেষে তাঁরই এক মানবিক মুখের সাক্ষী থাকল রাজ্যবাসী।
সভা শেষে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা রাথলেন তিনি। সভা শেষ হতেই বিক্ষোভকারীদের ডেকে নেন মমতা। ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। জানতে চান সমস্যার কথা। সূত্রের খবর, সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এই ব্যবহারের স্বাভাভিকভাবেই আপ্লুত বিক্ষোভকারীরা।
[আরও পড়ুন : স্কুল খুললে কলেজ কেন খুলবে না? প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন জগদীপ ধনকড়]
গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে তফসিলি জাতি-উপজাতি সম্মেলনের মঞ্চে উঠেই মেজাজ হারিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বক্তব্য রাখার আগেই দর্শকাসন থেকে উড়ে আসে নানা দাবি-দাওয়া। আর তাতেই ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। বিজেপি-সিপিএমের কথা শুনে অকারণ এই ধরনের আচরণ করছে অনেকে বলেই মন্তব্য করেন মমতা। দর্শকাসন থেকে ভেসে আসা নানা দাবি-দাওয়া শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলে দেন, “আর ৪-৫ দিন পরই ভোটের দিন ঘোষণা হবে। এখন এত চাইলে হবে না। কয়েকটা বিজেপি আর কয়েকটা সিপিএম লোকের কথা শুনে এরকম করে কোনও লাভ নেই। ভোটের আগে ব্ল্যাকমেল করবেন না।” পরে অবশ্যই নিজেই সেই ক্ষত মলম লাগান তৃণমূল নেত্রী।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের সদস্যরা নানা দাবিতে লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও বিধানসভা অভিযান করেছেন তাঁরা। আবার কখনও হাই কোর্টের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। এবার সরাসরি তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর সভাতেই হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।