সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত অন্ধ্রের জনপ্রিয় শহর নেলোর৷ ইতিহাস, সংস্কৃতি আর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানে মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে৷ এ রাজ্যে ঘুরতে যাওয়া মানেই যে শুধু ভ্যাইজ্যাগ বা হায়দরাবাদ নয়, তা নেলোরে গেলেই উপলব্ধি করতে পারবেন৷ এখানে যেমন প্রাচীন রাজা-মহারাজাদের সৃষ্টিকলার নিদর্শন দেখতে পাবেন, তেমনই সমুদ্র সৈকতে গিয়ে সূর্যাস্ত দেখার আনন্দও উপভোগ করা যাবে৷ মনোরম আবহাওয়ার জন্য নেলোরে প্রায় সারা বছরই পর্যটকদের আনাগোনা রয়েছে৷
কী দেখবেন
নেলোর ভ্রমণ শুরু করুন উদয়গিরি দূর্গ দিয়ে৷ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০৭৯ ফুট উঁচুতে অবস্থিত দূর্গটি মূল শহর থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে৷ ১৫০০ শতকে চোল, পল্লব বংশের রাজারা রাজত্ব করতেন এখানে৷ এই দূর্গে রয়েছে মোট ১৩টি প্রাসাদ ও অনেকগুলি মন্দির৷ মন্দিরের গায়ের কারুকার্য থেকে রাজাদের জীবনযাপনের বিষয়ে অনেক ধারণা পাওয়া যায়৷
ভেঙ্কটগিরি হল এই শহরের আরও একটি প্রাচীন দুর্গ৷ ১৭৭৫ সালে দুর্গটি তৈরি করা হয়েছিল৷ এককালে যেখানে জলসা বসত, আজ সেই দুর্গের শান্ত পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে৷
এবার একটু প্রকৃতির কাছাকাছি ফিরে আসতে ঘুরে আসুন নেলাপাট্টু পাখিরালয় থেকে৷ এই স্থান পর্যটকদের দারুণ পছন্দের৷ শীতকালে প্রায় ১৫০০ ধরনের পরিজায়ী পাখির দেখা মেলে এখানে৷ এর ভিতর একটি জাদুঘরও রয়েছে৷
এবার পালা ঈশ্বর দর্শনের৷ রঙ্গনাথাস্বামী মন্দির এখানকার অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান৷ পেন্নার নদী তীরে অবস্থিত প্রাচীন মন্দিরটি তৈরি করেছিলেন পল্লব যুগের রাজারা৷ এই মন্দিরটির শিল্পকলা আজও পর্যটকদের তাক লাগিয়ে দেয়৷
বঙ্গোপসাগরের তীরে সময় কাটাতে এবার চলে যান মাইপ্যাড সৈকতে৷ এখানের শান্ত, স্নিগ্ধ পরিবেশে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে সময় কাটিয়ে দেন পর্যটকরা৷
পুলিকট লেক হল এখানকার আরেকটি দর্শনীয় স্থান৷ পাখিপ্রেমীদের জন্য আদর্শ জায়গা এটি৷
হাতে সময় থাকলে দেখে নিন পেঞ্চালাকোনা জলপ্রপাতও৷
কীভাবে যাবেন
হাওড়া থেকে নেলোর যাওয়ার ১৬টি ট্রেন রয়েছে৷ আকাশপথে গেলে চেন্নাই বিমান বন্দরে নেমে যাওয়া যেতে পারে৷
কোথায় থাকবেন
নেলোরের মূল শহরে তো ছোট, বড় সব ধরনের হোটেল ও রিসর্ট রয়েইছে, তাছাড়াও উদয়গিরিতেও অনেকে গিয়ে হোটেল বুক করে থাকেন৷
The post যেখানে ইতিহাস ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মিলেমিশে একাকার appeared first on Sangbad Pratidin.