বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: নারদ মামলার চার্জশিট বিতর্কে ইডি (ED) এবং সিবিআই (CBI) আধিকারিকদের হাজিরা দিতেই হবে। ইডির তরফে দেওয়া চিঠিতে সন্তুষ্ট নন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই পালটা চিঠি দিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিককে বুধবারই বিধানসভায় হাজির হতে বললেন তিনি। তবে হাজিরা নিয়ে সিবিআইয়ের তরফে কোনও চিঠি আসেনি বলে বিধানসভা সূত্রে খবর।
নারদকাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়কের নামে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বিধানসভার অধ্যক্ষকে না জানিয়ে রাজ্যপালের অনুমতি নিয়েই চার্জশিট দেওয়া হয়। ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ। কেন তাঁকে অন্ধকারে রেখে চার্জশিটে জনপ্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হল বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুই তদন্তকারী সংস্থাকে চিঠি দেন অধ্যক্ষ। বুধবার তাঁদের হাজির হওয়ার কথা।
[আরও পড়ুন: ‘বিজ্ঞানের পড়ুয়া না হলে বোঝা যাবে না’, ‘গরুর দুধে সোনা’ তত্ত্বে সায় সুকান্ত মজুমদারের]
কিন্তু তার আগেই মঙ্গলবার তাঁরা আইন মেনেই চার্জশিট দিয়েছেন বলে ইডির তরফে জানান হয়। ইডির তরফে একটি চিঠি লিখে স্পিকারকে বলা হয়, তাঁরা আইন মেনেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়কের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছেন। এতে কোনও নিয়মভঙ্গ হয়নি। বিধানসভাকে অসম্মানও করা হয়নি। যদিও, বুধবার ইডির তদন্তকারী আধিকারিক বুধবার বিধানসভায় হাজির থাকবেন কিনা সেটা স্পষ্ট নয়।
[আরও পড়ুন: বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে বাছা হল সুকান্ত মজুমদারকে, নেপথ্যে কোন অঙ্ক?]
ইডির চিঠি আসার পরেই পালটা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে সূত্রের খবর। চিঠিতে অধ্যক্ষ যে নিজের পুরনো অবস্থানেই অনড় তা জানিয়ে দেন। বুধবার বেলা একটায় সিবিআইয়ের ডিএসপি সত্যেন্দ্র সিং ও ইডির আধিকারিক রথীন বিশ্বাসকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। অধক্ষ্য বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Biman Banerjee) দাবি, প্রিভেনশন এফ কোরাপশন অ্যাক্ট ধারায় চার্জশিট দেওয়ার আগে অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়া বাধ্যতামূলক। তবে তাঁদের তরফে হাজিরা দেওয়া হবে কিনা তা অবশ্য দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে স্পষ্ট করা হয়নি।