সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ছত্রিশেও এরকম ফিটনেস ধরে রাখা কীভাবে সম্ভব?কর রোনাল্ডোর (Cristiano Ronaldo) ফিটনেস ফান্ডা জানার জন্য সারা বিশ্বজুড়ে আলোচনা। হ্যাঁ, এই ৩৬-এও ইউরোর সেরা গোলদাতা হওয়ার জন্য রীতিমতো লড়াই করছেন তিনি। ফলে তাঁকে নিয়ে ফুটবল সমর্থকদের আগ্রহ বেড়ে গিয়েছে আরও কয়েকগুণ। রোনাল্ডো কিভাবে ফিটনেস ট্রেনিং করেন। লাঞ্চে কী খান? কারণ, এক নরম পানীয়র বোতল সরিয়ে দেওয়ার জন্য সেই ব্র্যান্ডের বাজার মূল্য মুহূর্তের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা। ফলে রোনাল্ডোর খাদ্য তালিকা জানার জন্যও মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
কয়েক ঘণ্টা পরেই নক আউটে সেই রোনাল্ডোর মুখোমুখি হবে বেলজিয়াম। ফলে ম্যাচের আগে রোনাল্ডোকে ঘিরেই সবচেয়ে বেশি আলোচনা বেলজিয়াম শিবিরে। লুকাকুদের যে দলটা এবার খেলছে, সেই দলের একজন ফুটবলারও কিছু সময়ের জন্য হলেও সি আর সেভেনের সঙ্গে এক দলের হয়ে ম্যাচ খেলেননি। শুধু এঁরা কেন, দাউদা পিটার্স ছাড়া বেলজিয়ামের কোনও ফুটবলারই কখনও রোনাল্ডোর সঙ্গে এক দলের হয়ে খেলেননি। ফলে ট্রেনিংয়ে কিংবা ড্রেসিংরুমে রোনাল্ডো কেমন, তা নিয়ে কোনও ধারণাই নেই লুকাকুদের।
[আরও পড়ুন: Mann Ki Baat: মিলখা সিংকে শ্রদ্ধা মোদির, অলিম্পিকের জন্য শুভেচ্ছা জানালেন অ্যাথলিটদেরও]
২০১৯-’২০ মরশুমে মাত্র ১৪ মিনিটের জন্য জুভেন্টাসের হয়ে রোনাল্ডোর সঙ্গে মাঠে নেমেছিলেন বেলজিয়ামের ফুটবলার দাউদা পিটার্স। মরশুমে জুড়ে তার বেশি খেলার সুযোগ না পেলেও, সারা মরশুম জুড়ে রোনাল্ডোর সঙ্গে ট্রেনিং করার সুযোগ পেয়েছিলেন। ফলে সেই অভিজ্ঞতা থেকেই রবিবার পর্তুগাল ম্যাচের আগে বেলজিয়াম চ্যানেল এইচএলএনের কাছে রোনাল্ডোর ফিটনেস ফান্ডা তুলে ধরেন পিটার্স। সেই চ্যানেলে রোনাল্ডোকে নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দাউদা পিটার্স জানান, মরসুম জুড়ে রোনাল্ডোকে খাদ্য তালিকায় খুব একটা বদল আনতে কিছু দেখেননি। মোটামুটি এক ধরনের খাবারই সারা মরশুম জুড়ে খান তিনি। জুভেন্টাসে রোনাল্ডোর একদা সতীর্থ পিটার্স বলেন, “সারা মরশুম জুড়েই রোনল্ডোকে ব্রকোলি, ভাত আর মুরগির মাংস খেতেই দেখেছেন। তার সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জল। কখনও ঠাণ্ডা পানীয় খেতে দেখেননি।” প্যাট্রিক এভ্রার মতো ফুটবলার একবার জানিয়েছিলেন, একবার লাঞ্চ করার জন্য রোনাল্ডোর বাড়িতে গিয়েছিলেন। দেখেন, লাঞ্চ টেবিলে ছিল শুধু, স্যালাড, মুরগির মাংস আর প্রচুর পরিমাণে জল। জলের বাইরে কোনও পানীয়র দেখা পাননি তিনি। তবে শুধু রোনাল্ডোর মেনু চার্ট নয়। কেন রোনাল্ডো সবার থেকে আলাদা, তা বোঝানোর জন্য সিআর সেভেনের সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করার অভিজ্ঞতাও তিনি বলেছেন। পিটার্স বলেন, “রোনাল্ডো সব সময় ম্যাচ জিততে চায়। সেই সময় জুভেন্টাসে আমি একদমই অনামী জুনিয়র ফুটবলার। তবুও আমার সঙ্গে কথা বলে, সব সময় আমার থেকে সেরা খেলাটা বের করার চেষ্টা চালিয়ে যেত। দলের জুনিয়রদের সব সময় উৎসাহ দেন, ভাল খেলার জন্য।”
[আরও পড়ুন: Euro 2020: আপনার ভবিষ্যৎ কী? প্রশ্ন শুনে মাঝপথেই সাংবাদিক সম্মেলন ছাড়লেন বেল]
রোনাল্ডোর ব্যক্তিগত আচরণ নিয়ে তিনি বলেন, “রোনাল্ডো একদমই অহংকারী ফুটবলার নয়। কিন্তু ফুটবল নিয়ে আলোচনা করতেই সব সময় ভালোবাসেন। এমনকি আমরা যখন ম্যাচ খেলার জন্য টিম বাসে ট্রাভেল করতাম, তখনও দেখতাম, রোনাল্ডো ফুটবলের বাইরে কিছু আলোচনা করেন না। মাথায় সব সময় ফুটবল ঘোরে। আর যখনই সময় পায়, খালি প্র্যাকটিস।” আজ খেলতে নামবেন, বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে। সেই বেলজিয়ামের ফুটবলারদের সম্পর্কে তিনি কী ভাবেন, তা বললে চলে? পিটার্স তা নিয়েও বলেছেন। জানান, বেলজিয়ামের লুকাকুর খেলাকে খুব সম্মান করেন রোনাল্ডো।