দুলাল দে: বাংলা, গোয়া এবং কেরলের তিন প্রতিনিধি নিয়ে আইএসল শুরুর কমিটি গড়ার পর ফেডারেশনের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল সত্যনারায়ণ জানিয়েছিলেন, কমিটিকে লিগ শুরুর প্রস্তাব দিতে হবে ২ জানুয়ারির মধ্যে। কিন্তু গোয়ার সভাপতি কাইতানো জোস ফার্নান্ডেজ এবং বাংলার সচিব অনির্বাণ দত্ত ২ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা না করে সোমবার রাতেই কেরালার সভাপতি নাভাস মিরান এবং সত্যনারায়ণের সঙ্গে আলোচনা করে আইএসএল শুরু করার জন্য প্রাথমিক একটা খসড়া জমা দিয়ে দিল এদিন। তাতে বাংলা এবং গোয়া আইএসএল শুরুর জন্য এদিন প্রাথমিক যে প্রস্তাব দিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, বাংলা এবং গোয়া এই দুটি ভেন্যু করে জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এই মরশুমের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ করতে চাইছে। একই সঙ্গে ফেডারেশনকে অনুরোধ করেছে, খুব দ্রুত আইএসএলের দিনক্ষণ জানানোর জন্য। কারণ, ক্লাবগুলি অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে আইএসএল শুরুর দিন জানার জন্য। শুরুর দিন না জানালে ক্লাবগুলি কিছুতেই ভালভাবে দল তৈরি করতে পারছে না। ভবিষ্যৎ নিয়ে অন্ধকারে রয়েছে।
বাংলার সচিব অনির্বাণ দত্ত এবং গোয়ার সভাপতি কাইতানো জোস ফার্নান্ডেজ যে প্রস্তাবগুলি সোমবার ফেডারেশনে দিয়েছেন, সেগুলির মধ্যে বলা হয়েছে, এই মরশুমে যেহেতু হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে লিগ করলে মে' মাসের মধ্যে আইএসএল শেষ করা সম্ভব হবে না, তাই দুটো ভেন্যুতে দলগুলিকে ভাগ করে আইএসএল করা হোক। দুটো ভেন্যু বলতে বাংলা এবং গোয়ার কথা প্রস্তাবে বলা হয়েছে। এমনিতে ম্যাচগুলি সাধারণত ক্লাবরাই আয়োজন করে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, একেকটি ভেন্যুতে যে দলগুলি থাকবে, সেই দলগুলি একসঙ্গে সেই ভেন্যুর ম্যাচ আয়োজনের খরচ বহন করবে। তবে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করা হবে, যাতে এই মরশুমের জন্য ম্যাচ আয়োজন করতে ক্লাবগুলির খরচ কিছুটা কম হয়।
বাংলা থেকে যে প্রস্তাব গিয়েছে, এএফসির কথা ভেবে চ্যাম্পিয়ন দলের ২৪টি ম্যাচ খেলার পরিকল্পনা দেখানো হয়েছে প্রস্তাবে। গোয়ার প্রস্তাবে অবশ্য কয়েকটি ম্যাচ কম দেখানো রয়েছে। বাংলার প্রস্তাবে গ্রুপ লিগের ম্যাচের পর দুই গ্রুপের প্রথম দিকের শীর্ষ দলগুলোকে নিয়ে ফের চ্যাম্পিয়নশিপ খেলার কথা বলা হয়েছে। তাতে চ্যাম্পিয়ন দল মোট ২৪টা ম্যাচ খেলে ফেলতে পারবে। তবে একই সঙ্গে ঠিক হয়েছে, এই ইস্যুতে এএফসির সঙ্গেও আলোচনা করা হবে।
এদিন আইএসএলের বেশ কয়েকটি ক্লাবের সঙ্গেও কথা বলেন আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত। তাতে তাঁর মনে হয়েছে, ক্লাবগুলি তাদের স্পনসরদের জন্য একটা দীর্ঘ সমাধান চাইছে। সেই কারণেই অনির্বাণ দত্ত ফেডারেশনের প্রস্তাব দিয়েছেন, এই মরশুমের আইএসএল শুরুর পাশাপাশি যেন দীর্ঘ সমাধানের জন্য ক্লাবগুলির সঙ্গে কথা বলে একটা সমাধানের পথা খোলা হয়। এই আলোচনাটা যেন ক্লাবগুলির সঙ্গে এখন থেকেই শুরু হয়।
এই মরশুমে খেলার জন্য ক্লাবগুলির কোনও ফ্যাঞ্চাইজি ফি দিতে হবে না। অপারেশন ফি বাবদ প্রতিটি ক্লাবকে ১ বা ২ কোটি টাকা দিতে হতে পারে।
