বিয়ের নিমন্ত্রণ সারা মানেই অতিথি আপ্যায়নের ভাবনা শুরু। বিয়ে মূলত দুই পরিবারকে এক সম্পর্কে বেঁধে ফেলে। তবে রেঁধে খাওয়ানো তো আর শুধু দুই বাড়ির লোকেদের মধ্যে সীমাবধ্য নেই। নিমন্ত্রিতরা খেয়ে-দেয়ে তৃপ্তি পেলে সন্তুষ্ট হয় দুই পরিবারই।
আগেকার দিনে বাড়ির মহিলারাই রান্নাবান্না-পরিবেশনের দায়িত্বটি নিতেন; সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হালুইকর বা বামুনদের এই কাজে নিযুক্ত করা প্রায় নিয়ম হয়ে দাঁড়ায়। এখন সেই দিনও গত। সুতরাং অতিথি আপ্যায়নের জন্য নির্ভর করতে হয় ক্যাটারিং সার্ভিসের ওপর। এর ভালো দিক যেমন অনেকগুলো আছে তেমন কিছু কিছু খারাপ দিকও থাকতে পারে। তাই কোন কোন জিনিসগুলোয় নজর দেওয়া উচিত তা আগে থেকে জেনে রাখা ভালো।
প্রথমেই যে জিনিসটি মাথায় রাখতে হবে যে, আপনার ইভেন্টের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে পারে এবং সঠিকভাবে তা পরিচালনা করতে পারে এমন একজন অভিজ্ঞ ক্যাটারারকেই দায়িত্ব দেওয়া দরকার। কোন ধরনের খাবার আপনি অতিথি অভ্যাগতদের খাওয়াতে চাইছেন এবং সংস্থাটি সেই ধরনের খাবার সরবরাহ করতে সক্ষম কি-না তা আগেভাগে জেনে নেওয়া উচিত। আর একটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি, যখন খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করা হবে, তখন সেখানে ব্যক্তিগত ভাবে তদারকি করার জন্য বাড়ির কেউ যেন উপস্থিত থাকেন। কোনও কোনও সংস্থা অন-প্রেমিস ক্যাটারিং করে অর্থাৎ খাবার রান্না বা তৈরি হয় অনুষ্ঠানের জায়গাতেই। আবার অফ প্রেমিস ক্যাটারিং-এর ব্যবস্থাও থাকে, অর্থাৎ খাবার অন্য জায়গায় তৈরি করে বিয়েবাড়ির লোকেশনে তা সরবরাহ করা হয়। এই ব্যাপারটি গোড়াতেই খোলসা করে নেওয়া ভালো।
বর্তমানে অনেকেই বুফে সিস্টেম বা লাইভ ফুড কাউন্টারের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যদি আপনার বাজেটে কুলিয়ে যায়, তবে তা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে নেওয়াটাই ভালো। এছাড়াও অতিথি-অভ্যাগতর সংখ্যা নিয়েও আগে থেকেই ক্যাটারিং সংস্থার সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে নেওয়া জরুরি। যদি বিশেষ কোনও পানীয় অথবা খাদ্যতালিকা সংক্রান্ত জিজ্ঞাস্য থাকে, সে বিষয়ে তাঁরা আগে থেকেই আপনার কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে নিতে পারেন। রেস্ত খসিয়ে বেস্ট সার্ভিস পাচ্ছেন কি-না তা যাচাই করতে একাধিক ক্যাটারিং সংস্থার সঙ্গেও কথা বলে নিতে পারে। একটু চোখ-কান খোলা রাখলেই নিমন্ত্রিতদের বাহবা পেতে আপনার অসুবিধা হবে না।
(প্রতিবেদনটি 'ছাঁদনাতলা' ফিচারের অংশ।)