সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডে বৃহস্পতিবার ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই মামলায় এটাই প্রথম গ্রেপ্তারি। কিন্তু কেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে নারায়ণ সাকার হরিকে ধরছে না পুলিশ? এই নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের পুলিশ কর্তা। সাংবাদিক সম্মেলনে তাঁকে এই প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল। তার পরই তিনি দাবি করলেন, ভোলে বাবা, যাঁর আসল নাম সুরজ পালকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ, যদি প্রয়োজন পড়ে।
আলিগড় রেঞ্জে পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল শলভ মাথুর বলেন, ''তদন্ত যেভাবে এগোবে আমরা আরও গ্রেপ্তারি করতে থাকব। বাবাকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করব যদি প্রয়োজন পড়ে। কিন্তু ওঁর এই দুর্ঘটনায় কোনও ভূমিকা ছিল কিনা সেবিষয়ে এখনই বলতে যাওয়াটা তাড়াহুড়ো হয়ে যাবে। এফআইআরে ওঁর নাম নেই। সেখানে আয়োজকদেরই দায়ী করা হয়েছে। আয়োজক কমিটি ও প্যানেলের সদস্যদের গ্রেপ্তারির অনুমতিই পাওয়া গিয়েছে।''
[আরও পড়ুন: ১০ জনপথে মুকেশ আম্বানি, হঠাৎ কেন সোনিয়ার বাড়িতে রিলায়েন্স কর্তা?]
এদিন গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনের মধ্যে ২ জন মহিলা এবং ৪ জন পুরুষ। ওই ৬ জনই সৎসঙ্গের ‘সেবাদার’ অর্থাৎ স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন। ঘটনার পরই পালিয়ে যান এই ৬ জন। তবে এখনও অধরা ভোলে বাবার ‘মুখ্য সর্দার’ অর্থাৎ ঘনিষ্ঠ সহকারী। উত্তরপ্রদেশ পুলিশ ঘোষণা করেছে, ওই মূল অভিযুক্তের সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কারও দেওয়া হবে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, হাথরাসে (Hathras) সৎসঙ্গের অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে ১২১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গোটা ঘটনায় উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। সেই কমিটিও ইতিমধ্যেই গঠিত হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ৮০ হাজার জনের জমায়েতে অনুমোদন দিলেও জানা যাচ্ছে, উপস্থিত ছিলেন আড়াই লাখেরও বেশি মানুষ। আরও অভিযোগ, আয়োজকরা ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টে যেমন সহযোগিতা করেননি তেমনই পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, অনুষ্ঠান শেষ হলে একদল বেরিয়ে যেতে চান। বাকি দলটা উলটো স্রোতে হেঁটে এগিয়ে যান বাবার পায়ের ধুলো নিতে। এতেই বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। আর তাতেই ঘটে যায় বিপত্তি।