সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাঝে মাঝে মাথাটা ব্যথা করে ওঠে? আচমকা রেগে যান? আবার হঠাৎ করে ঝাপসা দেখেন? আপনার হাইপারটেনশন নেই তো! এখনকার ফাস্ট ফরোয়ার্ড জীবনে মস্ত বড় এক সমস্যার নাম হাইপারটেনশন। একটা বয়সের পর এই রোগ শরীরে থাবা বসাবেই। ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যায় ৫০ শতাংশ। ৭০ বছরের পর এটি ৭৫ শতাংশ মানুষের মধ্যে দেখা যায়। কিন্তু আশ্চর্যভাবে ৫৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সীদের মধ্যে এর প্রভাব দেখা যায় প্রায় ৯০ শতাংশ।
হৃদযন্ত্রের উপর বিভিন্নভাবে প্রভাব ফেলতে পারে হাইপারটেনশন। এর ফলে হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল কমে যায়। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। ফলে হাইপারটেনশন হলে তার চিকিৎসা সঙ্গে সঙ্গে করানো দরকার।
[ ডেস্কে বসে কাজ করেন? এই পাঁচ সহজ উপায়ে অফিসেই ঝরান অতিরিক্ত মেদ ]
কীভাবে হাইপারটেনশনের মোকাবিলা করবেন:
উপযুক্ত ডায়েট: হাইপারটেনশন থেকে মুক্তির অন্যতম উপায় হল সঠিক ডায়েট মেনে চলা। ঠিকমতো ডায়েট রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে আয়ত্ত্বে থাকে হাইপারটেনশনও। শুধু তাই নয়। এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনাও কমে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ফল, সবজি, গম ও উচ্চ ফাইবার যুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। এছাড়া লো ফ্যাট সম্পন্ন কোনও খাবার বা ১% ডেয়ারি প্রোডাক্ট খাওয়া যেতে পারে। কম মাত্রায় সোডিয়াম, বেশি পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফলে হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে লবণ খাওয়ার পরিমাণও কমিয়ে দেওয়া দরকার।
ওজন ঠিক রাখা: যদি দেহের ওজন বৃদ্ধি পায়, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই পাল্লা দিয়ে বাড়ে রক্তচাপ। দেহের ওজন একটু কমালেই তা হৃদযন্ত্রের উপর অনেক ভাল প্রভাব ফেলতে পারে। সমীক্ষা বলছে যেসব স্থূলকায় ব্যক্তির হাইপারটেনশন রয়েছে এক কেজি ওজন কমলেই তাঁদের স্বাস্থ্যে উন্নতি দেখা যায়।
শরীরচর্চা: শুধু রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ নয়। ওজন ঠিক রাখতেও সাহায্য করে শরীরচর্চা। এছাড়া শরীরচর্চার ফলে হৃদযন্ত্রকে সতেজ থাকে ও মানসিক চাপ কমে। হাঁটা এক্ষেত্রে সবচেয়ে উপযোগী। সপ্তাহে পাঁচ দিন অন্তত ৩০ মিনিট করে হাঁটলেই উপকার পাওয়া যায়। তবে যদি সিঁড়ি দিয়ে ওঠা-নামা, জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার বা নাচের মতো কাজ করা যায়, তাহলে তো আরও ভাল। এগুলোর মতো শরীরচর্চা আর হয় না। মোটকথা দিনে ৩০ মিনিট শরীরচর্চা শরীর ও মনকে সতেজ রাখে। ফলে হাইপারটেনশন রোখা যায়।
[ সকালের কথা ভুলে যাচ্ছেন রাতে? ব্রেন শুকিয়ে যাচ্ছে না তো! ]
ধূমপান কখনই নয়: উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম ভিলেন ধূমপান। বহুবার বহু পরীক্ষায় তা প্রমাণ হয়েছে। ধূমপান করলে কিছুক্ষণের জন্য রক্তচাপ বাড়ে। এতে হৃদরোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
বন্ধ অ্যালকোহলও: হাইপারটেনশন থেকে মুক্তি পেতে গেলে ধূমপানের মতো অ্যালকোহলকেও ত্যাগ করা উচিত। সঠিক পরিমাণে যদি গ্লাস ভরা হয় তবে তিন পেগের বেশি ড্রিঙ্ক সমস্যা ডেকে আনতে পারে। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া এতে বেড়ে যায়। বারবার অ্যালকোহল বেশি খেলে হৃদযন্ত্রে রক্তচাপ প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পায়। ফলে যাঁরা ভাবে, অ্যালকোহল খেলে টেনশন কমে, তা সর্বৈব ভুল। এতে রক্তচাপ বাড়ে তো কমে না।
The post আচমকা মাথায় ব্যথা শুরু হয়ে যায়? আপনার এই রোগটি নেই তো! appeared first on Sangbad Pratidin.