সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও টেসলা কর্তা এলন মাস্কের দূরত্বের কথা এখন সর্বজনবিদিত। ক্রমেই চড়ছে বিরোধের ঝাঁজ। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্য, মাস্কের সঙ্গে এখনই কথা বলার মতো ইচ্ছে নেই তাঁর। তবে তিনি মাস্কের জায়গায় থাকলে অবশ্যই কথা বলার চেষ্টা করতেন বলে দাবি প্রেসিডেন্টের।
ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল তিনি মাস্ককে ফোন করা বা কোনওভাবে যোগাযোগ করার কথা ভাবছেন কিনা। জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ''আমি আসলে এমন কিছু ভাবিনি। আমি ধরে নিচ্ছি, ও আমার সঙ্গে কথা বলতে চায়। হয়তো ইতিমধ্যেই ফোন করেছেও। জিজ্ঞাসা করে দেখুন করেছে কিনা। তবে আমার এতে কোনও সমস্যা নেই। তবে আমি ওর জায়গায় থাকলেও আমার সঙ্গে কথা বলতেই চাইতাম।''
প্রসঙ্গত, এর আগে ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ‘বন্ধু’ মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কি শেষ। এর জবাবে রিপাবলিকান নেতা বলেন, ”আমার তো সেরকমই মনে হচ্ছে।” কিন্তু এবার তাঁর কথায় কোথায় যেন সম্পর্ক মেরামতির একটা ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে 'ইগো' সরিয়ে রেখে তিনি নিজে মাস্কের কাছে যাবেন না সেটাও এদিন পরিষ্কার করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
উল্লেখ্য, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও এলন মাস্কের সম্পর্কের অবনতির সূত্রপাত একটি ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’কে কেন্দ্র করে। মাস্ক দাবি করেন, ”এই বিল নিয়ে আমায় কিছু জানানো হয়নি। চুপিচুপি মধ্যরাতে এটি পাশ করা হয়েছে।” এরপর ট্রাম্পের বিলের সমালোচনা করে প্রশাসনিক উপদেষ্টার পদ ছাড়েন টেসলা কর্তা। পাশাপাশি শুরু হয় বাদানুবাদ। মার্কিন প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে হতাশার সুরে বলেছিলেন, ‘‘মাস্কের আচরণ হতাশাজনক।” পালটা এলন মাস্ক দাবি করেন, তাঁকে ছাড়াই জিততে পারতেন না ট্রাম্প। হোয়াইট হাউসের দখল নিতেন ডেমোক্র্যাটরা। এরপরই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল দু’জনের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে পৌঁছেছে।