সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁও হামলার পর অন্তত ৬০০ জন পাক সেনা ইস্তফা দিয়েছেন! ভাইরাল হওয়া এক চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, ১০০ জন সেনাকর্তা এবং ৫০০ জন জওয়ান ইতিমধ্যেই ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন। প্রশ্ন উঠছে, ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে যাওয়ার ভয়েই কি গণইস্তফা? উল্লেখ্য, পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে গুঞ্জন। তার মধ্যেই পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে গণইস্তফার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে।
পহেলগাঁওয়ে নিরস্ত্র পর্যটকদের হত্যায় প্রত্যক্ষ মদতদাতা যে পাকিস্তান তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। যে কোনও মুহূর্তে ইসলামাবাদের বুকে নেমে আসতে পারে ভারতের মৃত্যুবাণ। এহেন ডামাডোলের মাঝেই নাকি উধাও হয়ে গিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান! স্থানীয় সূত্রের দাবি, যুদ্ধের সম্ভাবনা শুরু হতেই ভয়ে লুকিয়েছেন দেশের সেনাবাহিনীর প্রধান। হামলার ভয়ে রাওয়ালপিন্ডির একটি বাঙ্কারে লুকিয়ে রয়েছেন। অনেকে আবার দাবি করছে, সপরিবারে বিদেশে পালিয়েছেন পাক সেনাপ্রধান। পরে আবার একটি ছবি পোস্ট করে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দাবি করেন, পাক সেনাপ্রধান মোটেই দেশ ছেড়ে পালাননি।
সেনাপ্রধানকে নিয়ে এমন জল্পনার মধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে পাক সেনাবাহিনীতে গণইস্তফার খবর। গত কয়েকদিনে পাক সেনার ৫০০ জওয়ান এবং ১০০ জন আধিকারিক ইস্তফা দিয়েছেন। তবে ভাইরাল হওয়া চিঠির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, যুদ্ধের আবহে প্রত্যেক দিন নতুন নতুন নির্দেশ জারি করা হচ্ছে সেনার জন্য। আচমকাই সেনাকর্তাদের সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে নতুন পদে। এছাড়াও বদলির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরেই স্বজনপোষণের অভিযোগ রয়েছে পাক সেনায়। সঠিক সময়ে তাঁরা বেতন পান না, কাজ করার পরিবেশও মেলে না সেনা জওয়ানদের।
তবে পাক সেনাবাহিনীতে ইস্তফার হিড়িকের মাঝে চিন্তার মেঘ থাকবে ভারতের জন্য। কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার নেপথ্যে অনেক সময়েই দেখা যায়, পাকিস্তানি সামরিক কায়দায় প্রশিক্ষণ পেয়েছে সন্ত্রাসবাদীরা। যুদ্ধের আবহে যে সেনারা ইস্তফা দিচ্ছেন, তাঁরা জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ দেবেন, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
