সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানি গর্দভ চলে যাচ্ছে চিনে! ফলে হুড়মুড় করে গাধার দাম বাড়ছে সে দেশে। বিপাকে পড়েছেন পাকিস্তানের পশুপালকেরা, যাঁরা মালবহন-সহ নানা কাজে গাধার উপরে নির্ভরশীল। প্রশ্ন হল, হঠাৎ পাল পাল গাধা চিনে চলে যাচ্ছে কেন? কীসের প্রয়োজন?
সংবাদ সংস্থাগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাচীন পদ্ধতিতে চিনে এক ধরনের ওষুধ তৈরি হয়, যা রীতিমতো জনপ্রিয়। ক্লান্তিনাশক এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো ওই ওষুধ তৈরির জন্য ‘ইজিআও’ নামের একটি সামগ্রী লাগে। চিনে এই ‘ইজিআও’ তৈরির ব্যবসা গত কয়েক বছরে লক্ষণীয় ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ওই ওষুধ তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় গাধার চামড়া। সেই কারণেই পাল পাল গাধা পাঠানো হচ্ছে চিনে। তাতেই স্থানীয় বাজারে গাধার চাহিদা বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে মহার্ঘ হয়ে উঠছে গাধার দাম। কতখানি বেড়েছে দাম?
যে গাধা ৩০ হাজার টাকা (পাকিস্তানি মুদ্রায়) বিক্রি হত, সেই গাধাই এখন বিকোচ্ছে ২ লক্ষ টাকায়। পাকিস্তানে গাধা কেনাবেচার সবচেয়ে বড় বাজার রয়েছে করাচির ল্যায়ারিতে। সেখানে একটি স্বাস্থ্যবান গাধার সর্বনিম্ন মূল্য (পাকিস্তানি মুদ্রা) ১ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা। এই বিষয়ে পাক সরকার মুখ না খুললেও স্থানীয় পশু ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, চিনের ব্যবসায়ীরা রুগ্ন গাধাদের জন্যও ৪০ হাজার টাকা (পাকিস্তানি মুদ্রা) দাম দিচ্ছে। এত টাকার প্রস্তাব না করতে পারছেন না তারা।
