সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কথা ছিল, ভারতীয় সময় অনুযায়ী সকাল ৯.৩০টা থেকে যুদ্ধ বিরতির পথে হাঁটবে ইরান ও ইজরায়েল (Israel-Iran Ceasefire)। সেই সময়সীমার ঠিক আগে দফায় দফায় মিসাইল হামলা চালানোর পর অবশেষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা ইরানের। জানা যাচ্ছে, এই যুদ্ধবিরতির আগে ইজরায়েলের একাধিক জায়গায় অন্তত ৬টি মিসাইল দেগেছে ইরান। এই হামলায় অন্তত ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও একাধিক। পালটা হামলার খবর এসেছে ইজরায়েলের তরফেও। অতঃপর ১২ দিন সংঘাত শেষে শান্তির প্রদীপ জ্বালালেন ট্রাম্প। যদিও ইরান যুদ্ধবিরতিতে সম্মতির কথা জানালেও ইজরায়েলের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি আসেনি।
মঙ্গলবার ভোররাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেন, ইরান-ইজরায়েল সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প লেখেন, ‘আগামী ছ’ঘণ্টার মধ্যে ইরান-ইজরায়েল দু’পক্ষই সম্পূর্ণ সংঘর্ষবিরতিতে যাবে। এর শুরুটা করবে ইরান (প্রথম ১২ ঘণ্টা)। তাকে অনুসরণ করবে ইজরায়েল (পরের ১২ ঘণ্টা)। একপক্ষের সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করলে অপর পক্ষও শান্তি বজায় রাখবে। ২৪ ঘণ্টা পর বারো দিন ব্যাপী যুদ্ধের ইতি।’ ডোলান্ড ট্রাম্প এই ঘোষণা করেন ভারতীয় সময় অনুযায়ী সাড়ে তিনটে নাগাদ, অর্থাৎ যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা ছিল সাড়ে ৯টায়। যদিও আমেরিকার দাবি খারিজ করে এক্স হ্যান্ডেলে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘাচি লেখেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ইজরায়েল এই হামলা শুরু করেছে। ইরান নয়। ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে।' এই ডামাডোলের মাঝেই খবর আসে ইজরায়েলের একাধিক জায়গায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। পালটা তেহরানেও মিসাইল হামলার খবর পাওয়া যায়।
এরই মাঝে ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া সময় অনুযায়ী ৯.৩০ নাগাদ যুদ্ধবিরতিতে নিজেদের সম্মতির কথা জানায় তেহরান। শুধু তাই নয় ইরান আরও জানায়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণার পর যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার আগেই তারা ইসরায়েলের উপর শেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেছে। তবে ইরান যুদ্ধবিরতির পক্ষে সম্মতি জানালেও ইজরায়েলের তরফে এখনও এই বিষয়ে মন্তব্য করা হয়নি। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আসলে শেষবেলায় চরম মার খেয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে ইজরায়েল।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, শেষবেলায় ইজরায়েলে চরম আঘাত হানতেই যুদ্ধবিরতির দাবি শুরুতে অস্বীকার করেছিল ইরান। ট্রাম্পের ঘোষণার পরই আমেরিকার দাবি খারিজ করে এক্স হ্যান্ডেলে ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাঘাচি লিখেছিলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি ইজরায়েল এই হামলা শুরু করেছে। ইরান নয়। ইজরায়েল যদি আক্রমণ বন্ধ করে, তাহলে ইরানও সামরিক অভিযান বন্ধ রাখবে। আমাদের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার কোনও ইচ্ছা নেই। তবে এখনও পর্যন্ত ইজরায়েলের সঙ্গে সংঘর্ষবিরতি নিয়ে কোনও চুক্তি হয়নি। এই বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’ ইজরায়েলে চরম আঘাত হেনে অবশেষে সংঘর্ষবিরতির সিদ্ধান্ত নিল ইরান।