সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানানোয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানালেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এইসঙ্গে সমাজমাধ্যমের পোস্টে তিনি লিখলেন, "রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের অবসানে ভারতের ভূমিকার উপর ভরসা রয়েছে কিয়েভের।"
'বন্ধু' ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে সোশাল মিডিয়ার পোস্টে জেলেনস্কির বার্তা, "শান্তি ও আলোচনায়" ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে ইউক্রেন। "এখন সমগ্র বিশ্ব স্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে এই ভয়াবহ যুদ্ধের অবসান চাইছে। এই বিষয়ে ভারতের ভূমিকার উপর ভরসা করছি আমরা।" তিনি আরও লিখেছেন, "কূটনীতিকে শক্তিশালী করে এমন প্রতিটি সিদ্ধান্ত কেবল ইউরোপ নয়, ইন্দো-প্যাসিফিক এবং তার বাইরেও নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করে।"
প্রসঙ্গত, ভারতের স্বাধীনতার দিবসের ঠিক পরদিন ছিল ১৬ আগস্ট ছিল ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস। সেদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইউক্রেনবাসীকে ভবিষ্যৎ শান্তি এবং অগ্রগতির বার্তা দেন। অপরপক্ষে ১৫ আগস্টে এক বার্তায় ভারতীয়দের শুভেচ্ছা জানান জেলেনস্কি। সেই সময়েও রুশ-ইউক্রেন শান্তিপ্রক্রিয়ায় ভারতের অবদান গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। তারপর থেকে একাধিক উদ্যোগ সত্ত্বেও মুখোমুখি বসে যুদ্ধ থামানো নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি দুই দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। গত শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে ঘণ্টা তিনেকের আলোচনার পরেও রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে কোনও সমাধান মেলেনি। এই বৈঠকে পুতিন স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যুদ্ধবিরতি করতে হলে দোনেৎস্ক অঞ্চল ছাড়তে হবে ইউক্রেনকে। যা দিতে অস্বীকার করে ইউক্রেন। এরই মাঝে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই রাষ্ট্রপ্রধানকে মুখোমুখি বসিয়ে আলোচনায় উদ্যোগী তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে জেলেনস্কিও জানিয়েছিলেন তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় প্রস্তুত। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানালেন, জেলেনস্কির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় একেবারেই নারাজ পুতিন।
