সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত রবিবারই দক্ষিণ কাশ্মীরে (Kashmir) নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায় হিজবুল মুজাহিদিনের শীর্ষ নেতা ডক্টর সইফুল্লা। তার আগেই নিকেশ করা হয়েছে রিয়াজ নাইকুর মতো হিজবুল কমান্ডারকেও। এবার কাশ্মীরের অবশিষ্ট শীর্ষ জঙ্গি (Terrorist) নেতাদের খতম করার ব্লু প্রিন্ট তৈরি করল ভারতীয় সেনা।
সইফুল্লা, নাইকুর মতো জঙ্গি নেতাদের মৃত্যুর পরে এই মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরে কিছুটা কোণঠাসা জঙ্গিরা। সেই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মীর থেকে সন্ত্রাসবাদকে পুরোপুরি মুছে ফেলতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ সেনা। এবছর ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০ জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে। এবার মন দেওয়া হচ্ছে নতুন পরিকল্পনায়। আপাতত সাত শীর্ষ জঙ্গি কমান্ডারের নাম রাখা হয়েছে তালিকায়। হিজবুল মুজাহিদিন কিংবা লস্কর-ই-তৈবার মতো দলের এই জঙ্গি নেতারা কাশ্মীরের নানা জায়গায় বিভিন্ন নাশকতামূলক ক্রিয়াকলাপে যুক্ত। অদূর ভবিষ্যতেই তাদের নিকেশ করার পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। তাহলেই রাজ্যের জঙ্গি ক্রিয়াকলাপকে পুরোপুরি কোণঠাসা করা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: বিহারে নগদ টাকা ছড়িয়ে ভোট কিনছে বিজেপি! ভিডিও ‘ফাঁস’ করে দাবি আরজেডির]
সম্প্রতি চিনের ড্রোন ব্যবহার করে পাঞ্জাব ও কাশ্মীরে অস্ত্র সরবরাহ করার চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। প্রতিবেশী দেশের এহেন চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা। সূত্রানুসারে জানা যাচ্ছে, ড্রোনের সাহায্যে কেবল অস্ত্র পাচার করাই নয় কাশ্মীরে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উপরে হামলা চালানোরও পরিকল্পনা রয়েছে আইএসআইয়ের। পাক সেনা ও আইএসআই মিলে এই চক্রান্ত করেছে। হেক্সাকপ্টার নামের চিনা ড্রোনকে কাজে লাগানোর মতলব করছে তারা।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা সম্প্রতি জঙ্গিদের পুনর্বাসনের কথা বলেছিলেন। কিন্তু তা কার্যত উড়িয়ে দিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের (J&K) বিজেপি (BJP) সভাপতি রবীন্দ্র রায়না বলেন, ‘‘একজন জঙ্গি জঙ্গিই হয়। ওদের জন্য কোনও চাকরির ব্যবস্থা হতে পারে না। ওদের জন্য একটাই নীতি। আর সেটা হল বুলেট।’’