সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বোধহয় যেমন কর্ম তেমন ফল। মন্দিরে চুরি করাই ছিল উদ্দেশ্য। সিঁধও কাটা হয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও পরিকল্পনা ব্যর্থ। পরিবর্তে বিপাকে পড়তে হল খোদ চোরকেই। কারণ, নিজের কাটা সিঁধেই আটকে গেল সে। দুষ্কর্মের ফল ভুগতে হয়েছে তাকে, দাবি প্রায় সকলের।
ঘটনাস্থল অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শ্রীকাকুলামের জামি ইল্লাম্মা মন্দির। ওই মন্দিরে থাকা বিগ্রহের গায়ে অলঙ্কারের শেষ নেই। মন্দিরের আশেপাশে ঘোরাফেরা করেছেন যুবক। তা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা তো দূর। পরিবর্তে সোনার দামি গয়নাগাটি দেখে বারবার লোভে পড়েছে সে। তাই তো চুরির পরিকল্পনা মাথায় ঘুরপাক করতে শুরু করে তার।
[আরও পড়ুন: মনোজিতের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ বৈশাখীর, ‘মুক্তির স্বাদ পেল’, বলছেন শোভন]
যেমন ভাবনা তেমন কাজ। কিন্তু সোজা পথ অর্থাৎ মন্দিরের প্রবেশ পথ দিয়ে ঢুকে যে চুরি করা সম্ভব নয়, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি যুবকের। সে কারণে বিকল্প পথের খোঁজ শুরু করে। পরিকল্পনা করেছিল দেওয়ালের গায়ে থাকা জানলা ভেঙে গর্ত তৈরি করবে। গর্ত তৈরিও করে। ওই যুবক ভেবেছিল গর্ত দিয়ে সোজা মন্দিরে ঢুকলেই কেল্লাফতে। কারণ, চোখের নিমেষে ওই গর্ত দিয়ে ঢুকে বিগ্রহ থেকে গয়নাগাটি হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। ওই গর্ত দিয়ে মন্দিরের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করতেই বিপত্তি। কারণ, গর্তে আটকে যায়। যন্ত্রণায় চিৎকার করতে থাকে যুবক। সাহায্যের প্রার্থনা করতে থাকে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন প্রায় সকলেই।
তবে যুবককে উদ্ধারের পর পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত শ্রীঘরেই ঠাঁই হয় যুবকের। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবকের নাম পাপা রাও। মাত্র ৩০ বছর বয়সি ওই যুবক স্থানীয় বাসিন্দা। এই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিকবার চুরি করে সে। তবে বিগ্রহের গয়না চুরি করতে গিয়েই যত গণ্ডগোল। ঈশ্বরে বিশ্বাসীদের মতে, বিগ্রহের গয়না চুরি করেছিল বলেই এমন দুর্ভোগ হল পাপার।