শাহজাদ হোসেন, ফরাক্কা: ওয়াকফ অশান্তির মাঝে মুর্শিদাবাদে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। তাদের বীরভূম ও সুতি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানিয়েছেন, খোদ এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই দুষ্কৃতীর নাম কালু নাদাব ও দিলদার নবাব। তারা সামশেরগঞ্জের জিগরি এলাকার বাসিন্দা। সম্পর্কে ভাই। গোপন সূত্রের খবর পেয়ে একজনকে বীরভূমের মুরারই ও অন্যজনকে সুতির বাংলাদেশ বর্ডার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতরা বাংলাদেশ পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছিল। তাদের আজকেই আদালতে তুলে নিজেদের হেফাজতে চাওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
বিশেষ দল গঠন করে এই খুনের তদন্ত শুরু করে পুলিশ। বাড়ির লোকের কাছে জানতে চাওয়া হয় ঘটনায় কারা যুক্ত বলে মনে করছে তারা। সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে একটি তালিকা তৈরি করে পুলিশ। সেই অনুযায়ী, কালু নাবাদকে বীরভূমের মুরারই থানা এলাকা থেকে ও দিলদারকে সুতি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, ওয়াকফ আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদের নামে 'গুন্ডামি' শুরু হয় মুর্শিদাবাদে। অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে নবাবের জেলা। পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়। সেই অশান্তির সময় সামশেরগঞ্জে বাড়ি থেকে টেনে এনে বাবা-ছেলেকে খুনের অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বাবা হর গোবিন্দ দাস ও ছেলে চন্দন দাসের খুনের ঘটনা আলাদা করে তদন্ত করা হচ্ছে বলে সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে জানান, এডিজি আইন শৃঙ্খলা জাভেদ শামিম। বিশেষ দলও তৈরি করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হল।
মঙ্গলবার সামসেরগঞ্জে থানায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার বলেন, "আমরা খুনের ঘটনায় বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করেছি। তাতে স্থানীয় থানা, জেলা পুলিশের কর্মী, সিআইডি ও এসটিএফের দক্ষ পুলিশ অফিসাররা রয়েছেন। আমরা কয়েকদিন প্রচুর সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছি। যারা খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত তাঁদের কয়েকজনকে শণাক্ত করা হয়েছে। সোমবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের মধ্যে দু'জন দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।"