সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাইস মিল নাকি গাড়িশালা? অনুব্রত মণ্ডলের বোলপুরের রাইস মিলে ঢুকে চক্ষু চড়কগাছ দুঁদে সিবিআই আধিকারিকদের। গাড়িগুলি শুধুই রাইস মিলে রাখা থাকত নাকি গরু পাচারের কাজে লাগানো হত সেগুলি, তাই এখন খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
শুক্রবার ঘড়ির কাঁটায় তখন সকাল ১০টা ১০ মিনিট। বোলপুরের রাইস মিলের সামনে গিয়ে পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। রাইস মিলের সামনে পৌঁছনোর প্রায় ৪০ মিনিট পর রাইস মিলের ভিতরে ঢোকেন তদন্তকারীরা। প্রায় ৭০ বিঘা জমির উপর ভোলে ব্যোম রাইস মিলটি অবস্থিত। জানা গিয়েছে, হারাধন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি প্রথমে এই রাইস মিলের মালিক ছিলেন। সম্ভবত ২০১৮ সাল নাগাদ ওই রাইস মিলটি হস্তান্তরিত হয়। সূত্রের খবর, বর্তমানে রাইস মিলের দলিলে নাম রয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের প্রয়াত স্ত্রী ছবি এবং মেয়ে সুকন্যার।
[আরও পড়ুন: ‘কেষ্টা বেটাই চোর’, জন্মাষ্টমীতে ভাইরাল আমূলের বিজ্ঞাপন ঘিরে বিতর্ক, কী বলছে তৃণমূল?]
সিবিআই সূত্রে খবর, WB54U6666 নম্বর প্লেটওয়ালা Ford Endeavour পাওয়া গিয়েছে। ওই গাড়িটির মালিক ব্যবসায়ী প্রবীর মণ্ডল। ৪৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ওই গাড়িটি ব্যবসায়ী কিনেছিলেন বলেই দাবি। ২০১৮ সালে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গাড়িটি অনুব্রত মণ্ডলকে দিয়েছিলেন বলেই বিস্ফোরক দাবি করেন ব্যবসায়ী। গাড়িতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্টিকার লাগানো ছিল।
রাইস মিল থেকে পাওয়া গিয়েছে একটি হুড খোলা Mahindra Thar। গাড়িটির নম্বর WB4B6966। এই গাড়িটির মালিক অনুব্রতর আপ্তসহায়ক অর্ক দত্ত। মূল্য আনুমানিক ১৬ লক্ষ টাকা।
Mahindra Alturas G4 গাড়িও রয়েছে। গাড়ির নম্বর WB54B9555। মূল্য আনুমানিক ৩২ লক্ষ টাকা।
একটি Mahindra 500 গাড়িও পাওয়া গিয়েছে। গাড়িটির নম্বর WB54Z4176। এই গাড়িটি সুতীর্থ ট্রাস্টের। ওই গাড়িতে লালবাতি লাগানো নিয়ে একসময় বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বলেই জানান ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মলয় পীঠ। এই গাড়িতে চড়েই অনুব্রত বীরভূম থেকে কলকাতায় আসতেন। ওই গাড়িটিও রাইস মিল থেকে পাওয়া গিয়েছে।
এছাড়া একটি UA047183 নম্বর প্লেটওয়ালা Tata Sumoও পাওয়া গিয়েছে। এই গাড়িতে করেই এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন অনুব্রত মণ্ডল। আপাতত সিবিআই হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডল। নিজাম প্যালেসেই রয়েছেন তিনি। শনিবারই শেষ হচ্ছে তাঁর সিবিআই হেফাজত। ওইদিন আদালতে তোলা হবে দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে। কী রয়েছে বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’র ভাগ্যে, সেটাই এখন দেখার।