চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: ফের কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিজেদের নামে চালানোর অভিযোগ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এবার সরব আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। বাবুলের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় নির্মিত বাড়ি নিজেদের নামে চালানোর চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার। আসানসোলের বারাবনি পঞ্চায়েত এলাকায় নির্মীয়মাণ একটি বাড়িতে লাগানো রয়েছে বাংলা আবাস যোজনার ফলক। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এলাকার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। তিনি অভিযোগ তোলেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নাম পালটে করা হয়েছে বাংলা আবাস যোজনা। বারাবনির ইটাপাড়া পঞ্চায়েতের পুরাতন চটি গ্রামে তৈরি হচ্ছে বাড়িটি। বাড়িটি পাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দা সীমা মুচি।
[সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসকের ‘গাফিলতি’, হাত খোয়ালেন রোগী]
বাবুল অভিযোগ করেছেন এই গ্রামটি একেবারেই প্রত্যন্ত। গ্রামের মানুষদের ভুল বোঝানোর জন্য এরকম একটি ফলক লাগানো হয়েছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিপিএল তালিকায় যাঁদের নাম আছে, তাঁরাই সরকারি প্রকল্পে এই ঘর পেয়ে থাকেন। কিন্তু এখানে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার নামটি বদলে ফেলা হয়েছে। যদিও, ফলকে বাংলা আবাস যোজনার নীচে ইংরাজিতে পিএমএওয়াই অর্থাৎ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা লেখা রয়েছে। তবে ছোট করে।
[১০ বছর পর খোঁজ মিলল ছেলের, ঘরে ফেরার অপেক্ষায় পরিবার]
আসানসোলের বারাবনির তৃণমূল বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়ের দাবি, “আমাদের রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ হচ্ছে না। কাজ হচ্ছে বাংলা আবাস যোজনার আওতায়। রাজ্য সরকারি তহবিল থেকে এই যোজনায় ২৫৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় কেন্দ্র ২৫ শতাংশ টাকা দেয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার দেয় ৭৫ শতাংশ টাকা। অথচ সেই প্রকল্পে কেন্দ্রের নাম লিখতে হবে! যিনি ৭৫ টাকা দিচ্ছেন তার নাম রাখা যাবে না তাই আবার হয় নাকি?” বারাবনি থেকে নির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য তথা বারাবনি ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অসিত সিং বাবুলকে কটাক্ষ করে বলেন, “মুখে বড় বড় কথা বললে হবে না। করে দেখাতে হবে তো। রাস্তা করলে তাতে তৃণমূল, কন্যাশ্রী প্রকল্পে তৃণমূল, শিশুসাথী, সমব্যথীতেও তৃণমূল। সব কাজেই তৃণমূল। আমরা মানুষের দল। মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই।”
The post কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদলের অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব বাবুল সুপ্রিয় appeared first on Sangbad Pratidin.
