ধীমান রক্ষিত: উচ্চ মাধ্যমিকের চতুর্থ সেমেস্টার অর্থাৎ চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষা চলাকালীন সংশ্লিষ্ট পরীক্ষাকেন্দ্রের মূল গেটের নজরদারি ক্যামেরায় লাগাতার রেকর্ডিং বাধ্যতামূলক হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। ২০২৬-এর ১২ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে চতুর্থ সেমেস্টার। চলবে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ওই রেকর্ডিং পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরও দু'মাস অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সংরক্ষণ করে রাখতে হবে- এমন নির্দেশ স্কুলগুলিকে পাঠাচ্ছে সংসদ।
প্রশ্নফাঁস, টোকাটুকির মতো অনিয়ম রুখতে কঠোর সংসদ। তাদের নির্দেশ, যেসব স্কুলকে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে বাছা হয়েছে, সেখানে দু’টি করে নজরদারি ক্যামেরা রাখতেই হবে। একটি থাকবে মূল ফটকে, অপরটি পরীক্ষাকেন্দ্রের ভেন্যু সুপারভাইজারের ঘরে। প্রসঙ্গত, চলতি বছর উচ্চমাধ্যমিকের তৃতীয় সেমেস্টারেও রেকর্ডিংয়ে জোর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অনেক পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রযুক্তিগত বিঘ্নের ফলে ক্যামেরা চললেও রেকর্ডিং পাওয়া যায়নি। সংসদের বক্তব্য, অতীতে অনেক রেকর্ডিংয়েই দেখা গিয়েছে, সময়-তারিখ-বছর ভুল রয়েছে। দিন-তারিখের গোলমাল হলে আইনি সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে তারা সতর্ক করেছে।
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “নজরদারি ক্যামেরা থাকতে হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। আবার তাতে যেন যথাযথ ভাবে ভিডিও রেকর্ডিং হয়, তাও সুনিশ্চিত করতে হবে। স্কুলগুলিকে সতর্ক থাকতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন ভেন্যু সুপারভাইজার যাতে মোবাইল নিয়ে কক্ষে ঢুকবেন না, এটাও সুনিশ্চিত করতে হবে। এ ব্যাপারে পরীক্ষাকেন্দ্র হিসাবে চিহ্নিত স্কুলের প্রধান শিক্ষকের উপর যাবতীয় দায় বর্তাবে। ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন না পরীক্ষার্থীরা।’’
এছাড়া সংসদ সূত্রে জানা গিয়েছে, চতুর্থ সেমেস্টারেও প্রত্যেকটি পরীক্ষাকেন্দ্রে একটি করে হাতে ধরা মেটাল ডিটেক্টর রাখা হচ্ছে তাদের তরফে। আর একটি মেটাল ডিটেক্টরের ব্যবস্থা করবে সংশ্লিষ্ট স্কুল। তাছাড়া, একই পরীক্ষাকেন্দ্রে নতুন ও পুরনো পরীক্ষার্থীরা থাকায় আরও সতর্ক থাকতে হবে কর্তৃপক্ষকে। কারণ পুরনো সিলেবাসের পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর ব্যবহারের অনুমতি পাবে। কিন্তু নতুন পরীক্ষার্থীরা ক্যালকুলেটর বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবে না।
