অর্ণব আইচ: নেশামুক্তি কেন্দ্রের (Rehab Centre) ভিতর হামলা। কেন্দ্রের রান্নাঘরে ঢুকে দুই কর্মীর উপর হামলা চালাল কেন্দ্রেরই এক আবাসিক। আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। অর্জুন নামে ওই আবাসিককে গ্রেপ্তার করেছেন দক্ষিণ শহরতলির হরিদেবপুর থানার আধিকারিকরা।
পুলিশ জানিয়েছে, হরিদেবপুরের (Haridevpur) সুকান্তপল্লিতেই রয়েছে রাজ্যের সবথেকে পুরনো এই রিহ্যাব সেন্টার। এখন এখানে ৩৬ জনের চিকিৎসা হচ্ছে। অর্জুন নামে অভিযুক্ত যুবক মূলত গাঁজায় আসক্ত ছিল। মাসখানেক আগে নেশামুক্তির জন্য তাকে এই কেন্দ্রটিতে পাঠান পরিবারের লোকেরা। রবিবারের সকালে প্রথমে প্রার্থনা হয়। এরপর কর্মীরা গিয়ে আবাসিকদের জন্য চায়ের আয়োজন করছিলেন।
[আরও পড়ুন: গুমনামী বাবাই নেতাজি! নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে পরিবারের একাংশের চিঠি মোদিকে]
কেন্দ্রের এক আধিকারিক সৌমেন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তখন বাজে প্রায় সকাল সোয়া আটটা। দোতলা ওই নেশামুক্তি কেন্দ্রটির একতলায় রান্নাঘরে কাজ করছিলেন অরূপ নস্কর ও রাজীব অ্যান্থনি ডি’কোস্টা। হঠাৎই সবার অলক্ষ্যে রান্নাঘরে ঢুকে পড়ে অর্জুন। প্রথমেই রান্নাঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এরপর আলমারি থেকে ধারালো ছুরি বের করে দু’জনকে কোপাতে থাকে সে। অরূপের মাথা, বুকে পাঁজরের কাছে আঘাত লাগে। বাধা দিতে গিয়ে হাতে আঘাত লাগে অ্যান্থনির। ভিতর থেকে চিৎকার, চেঁচামেচির শব্দ শুনে পিছনের দরজা দিয়ে ঢুকে দু’জনকে উদ্ধার করেন অন্য কর্মীরা। দু’জনকেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এখনও আহত অরূপের চিকিৎসা চলছে।
[আরও পড়ুন: কেরিয়ারে হোঁচট খাওয়ার ভয়? বিয়ের কথা ৩ মাস গোপনে রেখেছিলেন প্রয়াত মডেল মঞ্জুষা]
অভিযুক্তকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় হরিদেবপুর থানায়। পুলিশ এসে ভিতরের সিসিটিভি ফুটেজ (CCTV Footage) খতিয়ে দেখে। অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ জেনেছে, এক মাস চিকিৎসার পরও নেশামুক্তি কেন্দ্র থেকে পালাতে চাইত অভিযুক্ত। কর্মীরা তাকে বাধা দিতেন। সেই কারণেই তার রাগ গিয়ে পড়ে তাঁদের উপর। এ ছাড়াও লেক গার্ডেন্স এলাকার ওই বাসিন্দা মাদকাসক্ত (Drug addict) অবস্থায় আগেও বাড়িতে মা ও বোনের উপরও হামলা চালিয়েছিল। এই ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগও জানিয়েছিলেন পরিবারের লোকেরা। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।