নব্যেন্দু হাজরা: ভোটের ডিউটিতে এবার চিকিৎসকরা! হাওড়ার জেলা প্রশাসন না কি এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের নির্দেশ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। চিকিৎসকরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের নির্বাচনের কাজের সঙ্গে যুক্ত করা যায় না। তারপরেও কীভাবে জেলা প্রশাসন এহেন নির্দেশিকা জারি করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিষয়টি নজরে আসতেই কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
সাধারণত ভোটের কাজে পোলিং অফিসার-সহ একাধিক পদে কাজের জন্য সরকারি কর্মীদের ব্যবহার করহা হয়। তবে সেখান থেকে ছাড় পান জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। কিন্তু এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোটের কাজে চিকিৎসকদের মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। সাতজন চিকিৎসককে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
[আরও পড়ুন: নির্দল প্রার্থীদের সরে দাঁড়ানোর ‘অনুরোধ’ তৃণমূলের, জিতলেও দলের দরজা বন্ধ]
আর এই নির্দেশ ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত থাকেন চিকিৎসকরা। তাঁরা কেন প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসাবে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন? এ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচনে কমিশনে চিঠি দিল চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব হেলথ সার্ভিস ডক্টর্স।
বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, চিকিৎসকরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত। তাঁদের যাতে ভোটের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে না হয় তা নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে। জেলা প্রশাসন কেন এই নির্দেশিকা জারি করল, তা খতিয়ে দেখা হবে।
