সুবীর দাস, কল্যানী: হরিনঘাটায় প্রতিবাদ ইমামদের। বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানালেন তাঁরা। দাবি, 'ধর্মগ্রন্থ নিয়ে অপপ্রচার করছেন বিধায়ক।'
সম্প্রতি বিজেপির একটি প্রতিবাদ আন্দোলন থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোরানের কিছু বাণী তুলে ধরেন হরিণঘাটা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক কবিয়াল অসীম সরকার। বিধায়কের অভিযোগ, এই বাণীগুলি বিতর্কিত। তিনি দাবি করেন, 'এই বাণী কোনও ধর্মগ্রন্থেই থাকা উচিত না, তা গীতা হোক বা বাইবেল অথবা কোরান।' আর তা নিয়েই ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এবার সেই বক্তব্যের বিরুদ্ধে হরিণঘাটা থানায় বিধায়ক অসীম সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেন কল্যাণী মহকুমার ইমামেরা। ইমামদের বক্তব্য, 'তিনি বিধায়ক এবং কবিয়াল, সম্মানীয় ব্যক্তি। তাঁর ধর্মগ্রন্থ নিয়ে এভাবে অপপ্রচার করা উচিত না। এই প্রচারের মধ্যে দিয়ে অশান্তির পরিবেশ তৈরি হতে পারে।' তাঁদের দাবি, 'এর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করুক প্রশাসন। তাই আমরা প্রশাসনে দারস্ত হয়েছি। প্রশাসনের উপর আমরাদের ভরসা আছে।'
যদিও নিজের বক্তব্যে অনড় বিধায়ক। তাঁর দাবি, 'আমি যা বলেছি তা কোরানের নির্দিষ্ট পাতায়, নির্দিষ্ট লাইনে লেখা আছে। এটি আমার কথা নয়, কোরানের লেখা।' তাঁর বক্তব্য, 'আরও এমন অনেক লেখা আছে যা মানুষের সঙ্গে মানুষের দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিতে পারে। হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে পারে। ফলে আমার বক্তব্য পরিষ্কার, যে কোনও ধর্মের গ্রন্থে এমন কোনও বাণী লেখা থাকা উচিত না যা মানুষকে হিংস্র করে তোলে। ধর্ম মানুষকে ভালবাসতে শেখায়, নাকি ধর্ম মানুষের প্রতি মানুষকে হিংসা নামিয়ে আনতে শেখায়?'
বিধায়ক প্রশ্ন করেন, 'আমি কোরানে লেখা কিছু বাণী পরে দেখেছি, সেগুলো আপত্তিকর। তার বিরোধীতায় আমি সোচ্চার হয়েছি আর তাই তুলে ধরেছি। তার জন্য আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দিতে হবে, আমাকে মেরে ফেলতে হবে বলে উক্তি করছেন যারা, তারা বলুন, আমার বলা কথাগুলো কোরানে লেখা নেই। কোরান খুলে দেখুন আমি নির্দিষ্ট পাতা এবং নির্দিষ্ট লাইনও বলে দিয়েছি। ওই লাইনে সেগুলো যদি না লেখা থাকে। তাহলে আমি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবো, যার শাস্তি দেবেন আমি মাথা পেতে নেব।'
