shono
Advertisement

৫ মাস বেতন পাননি কেয়ারটেকার, গান্ধীজির জন্মজয়ন্তীতেই কংগ্রেসের অফিসে ঝুলল তালা

যদিও আকবরের বকেয়া বেতন নিয়েও কিছু জানেন না বলে দাবি করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি।
Posted: 09:46 PM Oct 02, 2021Updated: 09:58 PM Oct 02, 2021

 সৌরভ মাজি, বর্ধমান: জাতির জনকের জন্মজয়ন্তীতে তালা ঝোলানো হল পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ে। পড়ল বেশ কয়েকটি পোস্টারও। কংগ্রেসের ক্ষয়িষ্ণু সাংগঠনিক শক্তি বেআব্রু হল বর্ধমানে।

Advertisement

টানা ৫ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের কেয়ারটেকার আকবর খান। এমনকী জেলা কার্যালয়ের বিদ্যুতের বিলও মেটানো হচ্ছে না। অভিযোগ, জেলা কংগ্রেস সভাপতি তাঁর দায়িত্ব পালন করছেন না। ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ক্ষোভে শনিবার সকালে বর্ধমানের বিসি রোডে জেলা কার্যালয়ে তালা বন্ধ করে রাখেন কেয়ারটেকার আকবর। কয়েকটি পোস্টার সাঁটিয়ে দেন কেন বন্ধ রাখা হয়েছে কার্যালয় তা জানিয়ে। পরে গান্ধী জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এসে কংগ্রেসকর্মীরা দেখেন তালা ঝুলছে কার্যালয়ে। পরে আসেন জেলা সভাপতি প্রবীর গঙ্গোপাধ্যায়। তখন একপ্রস্থ উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে।

[আরও পড়ুন: মাতৃত্বকালীন ছুটি কাটিয়ে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র বসিরহাটে নুসরত, হিঙ্গলগঞ্জে জনসংযোগ]

আকবর জানান, বর্ধমানের প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা প্রয়াত নুরুল ইসলাম তাঁকে জেলা কার্যালয়ের কেয়ারটেকার নিয়োগ করেছিলেন। গত ৫ মাস ধরে তাঁকে বেতন দেওয়া হচ্ছে না। তিনি এদিন দুঃখের সঙ্গে বলেন, “বর্তমান জেলা সভাপতি এদিন এসে আমাকে কে নিয়োগ করেছে সে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।” তখন সেখানে উপস্থিত অন্য কংগ্রেস কর্মীরা প্রতিবাদ করেন জেলা সভাপতির এমন ব্যবহারে। আকবর জানান, জেলা সভাপতি তার পর সাত দিন সময় চেয়েছেন। আকবর বলেন, “সাতদিনের মধ্যে বৈঠক করে জেলা সভাপতি ঠিক করবেন আমার বেতন দেওয়া হবে কি না।” প্রবীরবাবু অবশ্য এই ধরনের ঘটনার কথা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “আমি কার্যালয়ে ঢুকেছি। আরও অনেকেই ঢুকেছেন। কোথাও তালা ছিল না। পোস্টারও চোখে পড়েনি। গান্ধী জয়ন্তীও পালন করেছি।” আকবরের বকেয়া বেতন নিয়েও কিছু জানেন না বলে দাবি করেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি।

যদিও জেলা কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ যা জানাচ্ছেন বা ছবিতে যা দেখা গিয়েছে তাতে জেলা কংগ্রেস সভাপতি যে ঠিক বলছেন না স্পষ্ট। জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন কার্যকরী সভাপতি তথা বর্ষীয়ান নেতা কাশীনাথ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেয়ারটেকার ৫ মাস বেতন পাননি। ক্ষোভে তিনি তালা দিয়েছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। জেলা সভাপতি দায় এড়াতে পারেন না।” কংগ্রেসের অনেক নেতাই অভিযোগ করেছেন, দলে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। জেলা সভাপতিকে কার্যালয়ে বা কর্মসূচিতে দেখা যায় না। যার ফলে এই ধরণের দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটছে‌।

[আরও পড়ুন: শিশুকে বিছানা থেকে তুলে আছড়ে ফেলল পরিচারিকা! ভাইরাল হাড়হিম করা সিসিটিভি ফুটেজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement
toolbarHome ই পেপার toolbarup রাজধানী এক্সপ্রেস toolbarvideo ISL10 toolbarshorts রোববার