মোহনবাগান- ১ (হেনরি ৭৫’)
পাঠচক্র- ০
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারফরম্যন্স নজর কাড়ল না, কিন্তু নজর কাড়ল হেনরির গোল। প্রাক্তন গোকুলাম এফসি স্ট্রাইকারের অভিষেক গোলেই বাজিমাত করল মোহনবাগান। ভাঙা দল নিয়েও শেষ পর্যন্ত তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল শংকরলাল চক্রবর্তীর দল।
ড্রেসিংরুমে ভাল ভাল ফুটবলার থাকলেও তাদের বাইরে রেখেই এদিন দল সাজাতে হয়েছিল বাগান কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীকে। একদিন আগে সই করায় এদিনের ম্যাচে নামানো যায়নি আই লিগে নজরকাড়া স্ট্রাইকার ডিপান্ডা ডিকাকে। মিনার্ভা থেকে সই করানো স্টপার সুখবেদ সিংকেও এদিন নামাতে পারেননি কোচ শংকরলাল। তাই দুই স্টপার হিসেবে তাঁকে নামাতে হয় কিংসলে এবং কিমকিমাকে। মেহতাবের অনুপস্থিতিতে মাঝমাঠের দায়িত্ব ছিলেন শিল্টন ডি সিলভা, সৌরভ দাস এবং পিন্টু হাজরা। আক্রমণে হেনরির পাশে আজহারউদ্দিনকে নামিয়ে খেলার গতি বাড়াতে চাইছিলেন কোচ শংকরলাল।
[ব্যর্থ বিরাটের একার লড়াই, বিশ্রী ব্যাটিংই হারিয়ে দিল ভারতকে]
কিন্তু প্রথমার্ধে মোহনবাগানের খেলায় কাঙ্ক্ষিত গতি দেখা গেল না। ফুটবলাররা দীর্ঘক্ষণ ধরে বল দখলে রাখলেও সেভাবে দানা বাঁধছিল না আক্রমণ। মূলত মাঝমাঠে নিজেদের মধ্যেই পাস খেলছিলেন বাগান ফুটবলাররা। কোথাও গিয়ে ফাইনাল পাসের অভাব বোধ করছিল মোহনবাগান। যাও দু’একটা সুযোগ আসছিল তাও কাজে লাগাতে পারেননি মোহনবাগানের স্ট্রাইকাররা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুটাও খানিকটা এরকমই হয়েছিল। কিন্তু ছবিটা বদলালো ম্যাচের ৭৫ মিনিটে। পরিবর্ত খেলোয়াড় তীর্থঙ্কর দাসের তোলা কর্নার থেকে গোল পেয়ে গেলেন হেনরি। তীর্থঙ্কেরর বলের ফ্লাইট বুঝতে না পেরে তা ক্লিয়ার করতে পারেননি পাঠচক্রের গোলকিপার অরিন্দম। সুযোগ বুঝে খুব কাছ থেকে বল জালে জড়িয়ে দেন হেনরি। এরপর দুপক্ষই বেশ কয়েকটি আক্রমণ শানালেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষ মুহূর্তে একের বিরুদ্ধে এক সুযোগ নষ্ট করেন পাঠচক্রের স্ট্রাইকার। আর সেই সুযোগ নষ্টেরই সুবিধা পেয়ে গেল সবুজ-মেরুন শিবির। জয়ের ফলে কলকাতা লিগের অভিযানটা ৩ পয়েন্ট দিয়েই শুরু করল মোহনবাগান। এদিকে ইস্টবেঙ্গলের প্রথম ম্যাচ বাতিল হয়ে গিয়েছে। তাই কিছুটা হলেও চাপ পড়ল লাল-হলুদের উপর।
The post অভিষেকে বাজিমাত হেনরির, ভাঙা দল নিয়েও পাঠচক্রকে হারাল মোহনবাগান appeared first on Sangbad Pratidin.