সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের উদ্বেগের পারদ চড়িয়ে চিনেই ভরসা রাখছে তালিবান (Taliban)। এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের উন্নতি সাধনে চিন বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে তালিবানের মুখপাত্র সুহেল শাহিন।
[আরও পড়ুন: Taliban Terror: ভারতীয় দূতাবাসে তালিবানের হানা, নেপথ্যে পাক গোয়েন্দা সংস্থা ISI]
গত জুলাই মাসে উত্তর চিনের তিয়ানজিন শহরে তালিবান নেতা আবদুল ঘানি বরাদর ও মুখপাত্র সুহেল শাহিনের নেতৃত্বে আসা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। বহুদিন ধরেই তালিবানের সঙ্গে গোপনে আলোচনা চালাচ্ছিল বেজিং। আমেরিকা ও ভারতকে বিপাকে ফেলতে পাকিস্তানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে জেহাদিদের অস্ত্র ও সরঞ্জাম দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে শি জিনপিং প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
এই যোগসাজশ স্পষ্ট করে বৃহস্পতিবার রাতে চিনা টেলিভিশন চ্যানেল CGTN-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র সুহেল শাহিন বলে, "আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে বড়সড় ভূমিকা নিতে পারে চিন। চিন বড় দেশ। ওদের অর্থনীতি এবং ক্ষমতা দুই-ই বিপুল। আমরা মনে করি আফগানিস্তানের পুনর্নির্মাণ, পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে বৃহত্তর ভূমিকা গ্রহণ করতে পারে চিন সরকার। এ দেশের উন্নতি সাধন করতে চাইলে চিনকে আমরা স্বাগত জানাই।’
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, তালিবানের বিবৃতির কয়েক ঘণ্টা আগেই জেহাদি সংগঠনটির হয়ে সওয়াল করে চিনের বিদেশমন্ত্রক। ১৯৯৬-২০০১ সালের তুলনায় এই তালিবান অনেক বেশি 'যুক্তিবাদী ও সাফ মানসিকতার'। বলে রাখা ভাল, আফগানিস্তানে তালিবানের উত্থানে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের শক্তিবৃদ্ধির আশঙ্কা করছে বেজিং। শি জিনপিং প্রশাসনের আশঙ্কা, চিনের শিনজিয়াং প্রদেশে পৃথক উইঘুর রাষ্ট্র গঠনের লড়াইয়ে ‘Eastern Turkistan Islamic Movement’ জঙ্গি গোষ্ঠীটিকে মদত দিতে পারে তালিবানের একাংশ। তাই উইঘুর জঙ্গিদের আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেওয়া নিয়ে আপত্তির কথা তালিবানের কাছে স্পষ্ট করেছে চিন বলেই মত। আর বিনিময়ে তালিবানকে মদত জুগিয়ে যাবে বেজিং বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।