সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘ভোরের আলো’। চতুর্থী থেকে অনলাইনে বুকিং শুরু হয়ে গেল এই নয়া ট্যুরিজম ডেস্টিনেশনের। পর্যটন দপ্তরের নিজস্ব ওয়েবসাইট ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের সাইটে গিয়ে সরাসরি বুকিং করতে পারবেন ইচ্ছুক পর্যটকরা। তবে প্রথম বুকিং পাবেন সোমবার ষষ্ঠীর দিন থেকে। একথা জানিয়েছেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব নিজেই। তিনি বলেন, “এটি পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় প্রকল্প হতে চলেছে। আগামী এক বছরে প্রকল্প এলাকার ভোল বদলে দেবে। সবাইকে আহ্বান জানাব আসুন, ভাল লাগবে।”
[টয়ট্রেনের দোসর এসি বাস, পর্যটকদের সুবিধায় নয়া ব্যবস্থা পাহাড়ে]
পর্যটন দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর সম্রাট চক্রবর্তী জানান, আপাতত মোট চারটি ঘর এবং দু’টি তাঁবু মিলবে থাকার জন্য। সব ক’টিই পুরোদস্তুর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। ঘরগুলির জন্য দিতে হবে দু’হাজার দু’শো টাকা করে এবং তাঁবুগুলির জন্য ধার্য হয়েছে দেড় হাজার টাকা। সম্রাটবাবু বলেন, “ইতিমধ্যেই ‘ভোরের আলো’-তে থাকার জন্য রাজ্য ও বাইরে থেকে প্রচুর খোঁজখবর করে ফোন আসছে। যদিও এ পর্যন্ত বুকিং-এর সুবিধা না থাকায় কাউকেই ঘর দেওয়া যায়নি। তবে শনিবার থেকে বুকিং খুলে যাওয়ায় এবার কিন্তু মানুষ খুশি হবেন।” তবে আপাতত ঘরের সংখ্যা কম হওয়ায় অনেকেই বুকিং পাবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডেপুটি ডিরেক্টর।
অক্টোবরের গোড়াতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ির মাঝখানে গজলডোবায় উদ্বোধন করেন। তাঁর নিজেরই দেওয়া নাম ‘ভোরের আলো’-তে রাত্রিযাপন করে পর্যটকদের জন্য খোলা আহ্বান জানান এখানে আসার জন্য। দেশ-বিদেশের ও স্থানীয় পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এখানে বিভিন্ন রকম বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সাইকেলে জঙ্গল সাফারি থেকে শুরু করে বোটিং, পাখি দর্শন, কিংবা এখানে রাত্রিযাপন করে তরাই ডুয়ার্সের গোটা পর্যটন সার্কিট ঘুরে দেখার বন্দোবস্ত সবই থাকছে। এদিকে, পুজোর সময় ‘ভোরের আলো’-র অনলাইন বুকিং পরিষেবা শুরু হওয়ায় খুশি পর্যটকরাও। দ্রুত এই প্রকল্প জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী এর সঙ্গে যুক্ত সকলেই।
[ শহুরে কোলাহলের বাইরে কাটাতে চান পুজো? গন্তব্য হোক তুরিয়ক মামরিং]
The post মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প, অনলাইন বুকিং শুরু ‘ভোরের আলো’-র appeared first on Sangbad Pratidin.