সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শনিবার নীতি আয়োগের বৈঠকের আগে সরে এলেন আরও এক মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক বয়কট করে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Narendra Modi) চিঠি লিখলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। জানালেন, সহযোগিতাপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এখন একটা উপহাস মাত্র। সুতরাং, নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়া অর্থহীন। উল্লেখ্য এর আগে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নীতি আয়োগের (Niti Ayog)বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েও তা বাতিল করেন। তিনি প্রতিনিধি হিসেবে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তা নাকচ করে নীতি আয়োগ কমিটি। ফলে বাংলা থেকে কোনও প্রতিনিধি থাকছেন না শনিবারের বৈঠকে। সে পথে হেঁটেই কেজরিওয়ালও জানালেন, দিল্লির তরফে নীতি আয়োগের বৈঠক বয়কট করা হচ্ছে।
কেন্দ্র বিরোধিতায় নতুন করে সরব দিল্লি সরকার। আমলাদের নিয়োগ, বদলি নিয়ে দিল্লি সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায় খর্ব করা হয়েছে কেন্দ্রের সাম্প্রতিকতম অর্ডিন্যান্সে (Ordinace)। সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তা পেশ করা হবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাশও হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা। তা রুখতেই বিরোধী দলগুলির দ্বারস্থ হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দিল্লিতে নীতীশ কুমার, কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে সহযোগিতা চেয়েছেন। বিরোধী দলের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও দেখা করার কথা। বার্তা একটাই, রাজ্যসভায় যেন বিলটি পেশ করা হলে বিরোধীরা যেন সমবেত হয়ে তা আটকে দেন।
[আরও পড়ুন: প্রকাশিত রাজ্য জয়েন্টের ফলাফল, প্রথম দশে অধিকাংশই CBSE ছাত্রছাত্রী]
শুক্রবার কেজরিওয়াল প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানালেন, মানুষ তো জিজ্ঞেস করবেই, প্রধানমন্ত্রী যদি সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ না মানেন, তাহলে সাধারণ মানুষ বিচারের জন্য কোথায় যাবেন। এই অবস্থায় নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কোনও অর্থ নেই। কারণ, সহযোগিতাপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো এখন একটা উপহাসে পরিণত হয়েছে। তবে শনিবারের নীতি আয়োগের বৈঠক একাধিক দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে দাবি কেন্দ্রের। বাংলা এবং দিল্লি ছাড়া সমস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীই সম্ভবত উপস্থিত থাকবেন। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন তাঁরা।
[আরও পড়ুন: সিদ্দারামাইয়া সরকারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত! কর্ণাটকে পালাবদল হতেই বিজেপির সুর কুমারস্বামীর মুখে]
এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কেজরিওয়ালের পর নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর কে চন্দ্রশেখর রাও। ওইদিন তিনি দিল্লি গেলেও নীতি আয়োগের বৈঠকে থাকবেন না। কেজরিওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে খবর।