shono
Advertisement
Saif Ali Khan

সইফের উপরে হামলায় বাংলাভাষীদের দুশ্চিন্তা

অভিনেতা সইফের বাড়িতে ঢুকে পড়া আততায়ী ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘বাংলাদেশি’।
Published By: Kishore GhoshPosted: 04:06 PM Jan 21, 2025Updated: 04:06 PM Jan 21, 2025

অভিনেতা সইফের বাড়িতে ঢুকে পড়া আততায়ী ‘অনুপ্রবেশকারী’ ও ‘বাংলাদেশি’। এই তথ্য মেরুকরণ ও বাঙালি-দ্বেষ বাড়াবে?

Advertisement

বলিউডের তারকা দম্পতি সইফ-করিনার বাড়িতে ডাকাতি এবং অভিনেতার উপর হামলার ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত এক ব‌্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ৩০ বছর বয়সি মহম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ একজন বাংলাদেশি নাগরিক। পাঁচ মাস আগে সে ‘অবৈধ’ভাবে সীমান্ত টপকে ভারতে ঢুকে পড়েছিল এবং ক্রমে কাজের জন‌্য মুম্বইতে চলে আসে।

ভারতে সে পরিচয় ‘গোপন’ করে বসবাস করছিল। এই ঘটনা আরও একবার জাতীয় নিরাপত্তা, অভিবাসনের সমস‌্যাকে সামনে এনেছে। প্রশ্ন জেগেছে, প্রশাসনিক দুর্বলতা এবং অবৈধ অভিবাসনের সামাজিক-রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে। অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিতকরণের জন‌্য কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। না হলে সীমান্তে প্রহরায় ফাঁকফোকর এবং অপর্যাপ্ত নজরদারি জননিরাপত্তার ক্ষেত্রে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলতে পারে। সইফ আলি খানের মতো ব‌্যক্তিত্বর বাড়িতে যদি এই হামলা হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার গ‌্যারান্টি কী? তাঁর উপর আক্রমণ প্রমাণ করে যে, সিস্টেমজনিত নানা সমস্যার পরিণতি থেকে কেউই মুক্ত নয়।

আঞ্চলিক অর্থনৈতিক ‘পাওয়ার হাউস’ হিসাবে ভারত বরাবরই বাংলাদেশের মতো প্রতিবেশী দেশের অভিবাসীদের জন্য আকর্ষণীয় ঠাঁই। তার মধ্যে অনেকেই অর্থনৈতিক সচ্ছলতার জন্য মুম্বইয়ের মতো শহরে জীবিকার সন্ধানে চলে আসে। ‘বৈধ’ কাগজপত্র ছাড়া এসব মানুষের উপস্থিতি উদ্বেগের বিষয়। এই অবৈধ অভিবাসীরা প্রায়শই কম বেতনের চাকরিতে শোষিত হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতি তাদের অপরাধমূলক কাজকর্মে প্ররোচিত করে। একইসঙ্গে, অবৈধ অনুপ্রবেশের ঘটনা, কর্মসংস্থান এবং সম্পদের জন্য প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত উদ্বেগকে উসকে দেয়, যা অনেক সময়ই ‘জেনোফোবিয়া’-র রূপ নেয়।

এই সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী ও হিন্দু-বিরোধী রব চরমে। সেই পরিস্থিতিতে সইফের হামলাকারীর ‘বাংলাদেশি’ পরিচয় বিশেষ তাৎপর্য রাখছে। একদিকে, পুলিশের বয়ান অনুযায়ী, একজন বাংলাদেশি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়েছে এবং মুম্বই গিয়ে সে পাঁচ মাস রয়েছে পরিচয় গোপন করে। সে ধরা পড়েছে বটে, তবে এমন হয়তো আরও অনেক ‘স্বভাব অপরাধী’ অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে জনতার সঙ্গে মিশে রয়েছে! এটি দেশের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ক্ষেত্রে বিপদের।

অন‌্যদিকে, মহারাষ্ট্র ও হিন্দিভাষী রাজ‌্যগুলিতে বাঙালি-বিরোধী একটি প্রচ্ছন্ন চেতনা রয়েছে। দেশের বাঙালিকেও সহজে সেখানে ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে হেনস্তা করা হয়। সেখানকার আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে ভিনরাজ‌্যবাসীরা কর্মসংস্থানে ভাগ বসাচ্ছে– এমন চেতনা থেকে এই ধারণা উদ্ভূত। ফলে এবার বাংলাদেশিদের হয়তো তারা ‘সমাজের জন্য বিপজ্জনক’ বলে প্রচার করতে শুরু করবে। তাতে ওসব রাজ্যে বাংলা-ভাষীদের উপর হেনস্তা বাড়বে, এবং এপারের বাঙালি না ওপারের বাঙালি তা বিচার করা হবে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • এই সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী ও হিন্দু-বিরোধী রব চরমে।
  • মহারাষ্ট্র ও হিন্দিভাষী রাজ‌্যগুলিতে বাঙালি-বিরোধী একটি প্রচ্ছন্ন চেতনা রয়েছে।
Advertisement