আকাশ মিশ্র: প্রথমেই বলে রাখি, ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’ কিন্তু একেবারেই ব্রিটিশ সিরিজ ‘দ্য নাইট ম্য়ানেজার’ থেকে কপি-পেস্ট। কিন্তু অনুকরণ এতটাই ঠিকঠাক যে, চিত্রনাট্য নকল করার দোষ কিন্তু একেবারেই মাথায় থাকবে না। চিত্রনাট্য়ে ভারতীয় ছোঁয়া। আর সঙ্গে দুরন্ত অভিনয়। ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’ দেখতে দেখতে চোখ ফেরানো বেশ কঠিন। মোদ্দা কথা হল, বহুদিন বাদে ডিজনি হটস্টারে এমন সিরিজের দেখা মিলল। এই সিরিজের সবচেয়ে ভাল দিক, মাত্র ৪ এপিসোডেই গল্প এগিয়ে যায়। আর শেষ এপিসোড এমনই উৎকণ্ঠা তৈরি করে যে দ্বিতীয় পার্ট আসার জন্য অপেক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
‘দ্য নাইট ম্যানেজার’কে থ্রিলারই বলা যায়। তাই গল্পের মারপ্যাঁচ খোলসা করা অন্যায় হবে। বরং গল্পটা একটু ছুঁয়ে নেওয়া যাক। প্রাক্তন সেনাকর্মী একটি পাঁচতারা হোটেলে নাইট ম্যানেজারের কাজ করে। ঘটনাচক্রে হঠাৎই এক কিশোরীর প্রাণ বাঁচানোর দায়িত্ব নেয়। ফের যেন স্পেশ্যাল অপারেশনের স্বাদ পেল সেনাকর্মী শান সেনগুপ্ত। ব্যস, এইটুকুই থাক। কারণ বাকিটা একেবারেই সিরিজে দেখুন। কারণ, প্রত্যেকটি এপিসোডেই রয়েছে রোমাঞ্চ।
[আরও পড়ুন: ‘ও একেবারেই অভিনয় পারে না!’ নেটিজেনের প্রশ্নে প্রাক্তন প্রেমিক হৃতিককে খোঁচা কঙ্গনার]
অভিনয়ের দিক থেকে একজনই সেরা। তিনি হলেন অনিল কাপুর। মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে দেখতে হয় তাঁকে। এখনও যে তিনি স্ক্রিন জুড়ে দাপট দেখাতে পারেন, তার প্রমাণ এই সিরিজ। আর তারপরেই আসে যার নাম, তিনি হলেন টলিউডের অন্যতম অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়। এককথায় অসাধারণ। ভাল লাগবে আদিত্য রায় কাপুর ও তিলোত্তমা সোমের অভিনয়ও।
সব মিলিয়ে ‘দ্য নাইট ম্যানেজার’ দেখার মতো একটা সিরিজ। চোখের পলকে কীভাবে ৪ টি এপিসোড শেষ করে ফেলবেন বুঝতেই পারবেন না। এই সিরিজ কিন্তু মিস করা যাবে না।